পটে আঁকা ছবিটির থেকে সব রেখা উঠে আসে যে তুলিতে
সেই জাদু-তুলি আমি পেয়ে গেছি---
রেখেছি আঙুল করে তাকে ;
এখন তো কিছু রচনার পর অনুশোচনার ভয় নেই---
নিখিলের নির্জন চূড়ায় এসে ভয় কাকে ?
সকলের গান আমি না চাইলেও কী করে জানি না
উঠে আসছে আমারই ব্যাকুল কণ্ঠে---সকলের প্রেম---
সব কাহিনির মধ্যে আমারই উচ্ছ্বাস টের পাচ্ছি
উল্কাভস্ম উড়ে এসে ফেলছে মৃদু শ্বাস।
নিজের ব্যর্থতা নিয়ে ভাবছি না একটুও
ঝরাপাতার পৃষ্ঠায় সে কবেই মুদ্রিত হয়েছি---
অনূদিত হচ্ছি আজ সব দেশে ধুলি ও তুষারপাতে ;
পাঠ্য আমি সমুদ্রের ধারে মারমেইড ভেসে ওঠার মতন
শ্বেত-মর্মরে রচিত ফেনিল বিদ্যায়তনে---
ব্রুনাই দারুসসালাম---কিংবা সে মাদাগাস্কার---
যে দ্বীপের থেকে এই দেশে ভেসে এসেছিলো লাল কৃষ্ণচূড়া
নীল তরঙ্গের ঝুঁটি ধরে।
পৃথিবী, তোমার পিরামিডে তুমি যত্ন নাও ;
আমি তো জ্যামিতি-সূত্র মাত্র---উপপাদ্য---হায়ারোগ্লিফিক।
ভেঙে পড়ছে তোমারই সাম্রাজ্য---
হাওয়ার প্রাসাদ---ঝুলন্ত উদ্যান---মস্কো বেল---
তৈরি হচ্ছে তোমাকে ঘিরেই
অজস্র বারমুদা ট্রায়াঙ্গেল---
ছুটে আসছে শৈত্য প্রবাহ---নামছে কুয়াশা---
ঢেকে যাচ্ছে ঐ দিগ্বিদিক।
এই নিমরাত জ্যোৎস্না-আঁধারের দ্বিধাদ্বৈত নাচে
শ্বেত পায়রা হয়ে তার যুগল পাখনায়
আমি এনেছি তোমার কাছে
অনন্ত অকূলে ভাসমান বার্তা এক হৃদয়ের---
তুমি দাও এঁকে ওর পায়, পায়ের আঙুলে
হিঙুলের ফোঁটা---রাঙাচিহ্নঘের---প্রবালপ্রাচীরচূর্ণ ধুলা ও কাদায়---
দাও ঢেউয়ে ঢেউ ভাঙা অস্তসূর্যকণা---গলিত পারদপুষ্পভার
রক্তজলধির পারে জেগে ওঠা এক
ভুবনডাঙার।
রাত্রি ১১:৪৫ ০৭.০১.০৭
উপান্ত, উত্তরা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৬