অমন একটা দুটো পথ এখানে সবার জানা।
পলায়ন আর পাড়ি জমাবার কথা যতটা ভাবে নি
শিকারীর হাত থেকে ফস্কে যাওয়া পাখি
তার থেকে গভীর বেদনাভয়সহ ভাবনার মধ্য দিয়ে
নেমে গেছে এইসব পথ
মালভূমি ছেড়ে বিস্তীর্ণ উপত্যকার দিকে; ঘর থেকে
ছুটে গেছে হাওয়া, দৃষ্টির গোপন আলো
স্ত্রীকে ছেড়ে পরিচারিকার মলিন ত্বকের দিকে।
তার ধারে রথ, পাল্কি ও পথিক---সকলেই আছে।
পথের বৃত্তান্ত থাক। তারচে বরং সুড়ঙ্গের কথা বলি।
অন্ধকার দেয়ালের গায়ে শ্যাওলার গন্ধ---
বুক ভ’রে আধেকটা শ্বাস না নিতেই
কাছে আসে উনিশ শতক, হুতোম পেঁচার ডাক।
অভিশপ্ত পাথরের মূর্তিটিকে দ্যাখো। পায়ের উপর দিয়ে তার
সুড় সুড় করে চলে যাচ্ছে একটা দিঘল কালো সাপ---
শীতল সংকেত কিছু টের পাও তুমি, শুনতে কি পাও
রক্তহিম আর্তনাদ, ঐ পাথরের?
সুড়ঙ্গের বাঁকে বাঁকে কত পাথরের মূর্তি।
যদি কোনো এক ফাঁকে নেমে আসে প্রত্নচাঁদের ইশারা
প্রেতযুগ হঠাৎ পেরিয়ে!---
ফোকরের জন্যে তাই কান্না ওঠে সুড়ঙ্গভুবনে,
সেই কান্না ঘিরে নাচে হিমোগ্লোবিনের ঢেউ।
এইখানে আলো শুধু পাবে হিরেফুল, কয়লার গুহা---এই মনে হয়
অভ্রসাগরের কূলে বসে উথালপাথাল করা সবুজ পুরীতে।
আর মনে হয়, কচ্ছপের কথা, খরগোশের কথা---
ঘুমন্তের পাশ দিয়ে ঠিক চলে যাবে কেউ
ডাক দিয়ে ঘুম তবু ভাঙাবে না।
বিকাল ৩:২৪ ০১.০৮.০৮
উপান্ত, উত্তরা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৫