বিএনপি আর জামাতের জোটের ফলাফল, বিএনপির কর্মীরা জামাতের পিঠ বাঁচাতে ব্যাস্ত, জামাত-শিবির পরিকল্পিত উপায়ে মনস্তাত্বিক ভাবে গ্রাস করে নিচ্ছে বিএনপিকে, কর্মীদের। আপনি নিজেই সাকার সম্ভাব্য গ্রেফতার রুখেছেন ক'দিন আগে, আপনার গুলশান কার্যালয়ে।
টিপাইমুখ লংমার্চে আপনি নেই কেন? কেন আপনি নেই পথে দেশের জন্য?
জনগন অতিষ্ট আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে, জনগনের জন্য নেই কেন কোন কর্মসূচী?
দ্রব্যমূল্য, জরুরী সেবা - সবই একটু একটু করে জনসাধারনের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে - খেয়াল রাখেন?
আপনার গৃহরক্ষার কর্মসূচী জনগনই স্বতোপ্রনোদিত হয়ে নিতো, ঈদের পরে। কেন ঈদে ঘরমুখি মানুষকে ডোবালেন? আর স্টে অর্ডারটা নিতে পারেনি কেন আপনার আইনজীবিরা? শুধুই একটা "ইস্যু" পেতে?
বিএসএফ বাংলার জমিতে, সিলেটের গোয়াইনঘাটের অন্তর্গত প্রতাবপুরে, পাদুয়া সীমান্তের ১২৭২ সীমান্ত পিলার সংলগ্ন ২৩০ একর বাংলাদেশের জমিন ভারতীয় বিএসএফ আগ্রাসনের শিকার - আপনি নিশ্চুপ। উল্লেখযোগ্য কোন কর্মসূচীর উদ্যোগ নেই আপনার, কেন?
এরকম আরো আছে অনেক ইস্যুই, যা আপনাকে এনে দিতে পারে জন সমর্থন, বর্তমান সরকার পতনে।
বেগম জিয়া, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন - মনে আছে কি?
এরপরের চিত্রটা বেশ ভয়াবহ হতে পারে, জামাতের কর্মী আর বিএনপির পুতুল লীডার - বিএনপির জামাতিকরন। এটা আমরা চাই না। ক্ষমতার সিংহাসনে পুতুল হয়ে বসে লাভ কি?
আওয়ামিলীগ বলেছিলো তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে, আপনি জামাতকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে প্রমান দিন স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে আপনার কোন আপোষ নেই। প্রমান করে দিন রং হেডেড লেডির চাইতে আপনি অনেক বেশি শ্রদ্ধা রাখেন দেশের ইতিহাস আর সার্বভৌমত্বের প্রতি। প্রমান করে দিন জনগনের পাশে থাকতে পারেন।
এখনো সময় শেষ হয়নি, জামাতকে ছুঁড়ে ফেলুন আস্তাকুড়ে।
জামাতের ভোটব্যাংক কখনোই লীগ পাবে না, আপনারই থাকবে।