বিদগ্ধজনেরা আমাদেরকে বাকশালের ভয় দেখিয়ে এতোদিন ঘুম পাড়িয়ে রেখে ছিলো বলে ছিলো বাছারা দেখো ঐ আসছে বাকশাল তোমরা ঘুমিয়ে যাও আমরা তোমাদের দেখে রাখবো ।না ঘুমুলে বাকশাল তোমাদের খেয়ে ফেলবে।তারা বলে তোমাদের বাঁচাতে ঐ বাকশালকে প্রতিহত করতে বাকশালের স্বপ্ন দ্রস্টা কে আমরা নি:সংশো ভাবে হত্যা করেছি তার বংশের এমন কি তার দূরের কাছের সকল আপন জনকে হত্যা করেছি আর ভয় নাই । আমরা প্রশ্ন করেছি এটা এমন কি ভয়ংকর জিনিস যে এটাকে প্রতিহতো করার জন্য চার বছরের শিশু থেকে অন্তস্বত্বা গৃহবধুকে হত্যা করতে হলো ? আমাদের প্রভূরা বল্ল চুপ-চুপ চেচা মেচি করলে বাকশাল তোদের খেয়ে ফেলবে সে না খেলে আমরাই তোদের খেয়ে ফেলবো দেখ দেখ আমাদের নখে তোদের অসংখ্য প্রতিবাদী সিপাহি-জনতার রক্ত তারা ঘুমাতে চায়নি তাদের কে আমরা চীরতরে ঘুম পারিয়ে দিয়েছি। আমরা আতংকে ঘুমিয়ে পড়ি । আমরা ঘুমিয়ে পরি .......ধুমিয়ে পরি......
যখন ধারালো খুর হাতে পাকিস্তানী দালালরা লম্বা কোর্তা গায়ে দেশ সেবা করতে রাজনীতিতে হালাল হয় তখন আমরা আবার চোখ পিট পিট করি ..আমাদের সামরিক প্রভূ বলে আরে এরা তোদের দেশমাতার ইজ্জত রক্ষা করবে তোদের মাকে দেখে রাখবে.. তোরা নিশ্চিন্তে ঘুমা আমরা আবার ঘুমিয়ে যাই কিন্তু পারিনা কোর্তা ওয়ালাদের সেবায় দেশমাতার বেদনাতুর হাহাকারে আমরা ঘুমুতে পারিনা । আমরা চিৎকার করে বলি আমার মা স্বাধীনতার পরেও কেন আজ নির্যাতীতো। সামরিক প্রভূ বলে আরে তোদের মাকো আজ ইসলামী আদর্শে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তাইতো চেচাচ্ছে ... আমরা বলি আমার ভাইয়ের হাতের রগ কে কাট লো তিনি বলেন তোর ভাইকে আমরা বসিয়ে বসি
য়ে খাওয়াবো তার হাতের কি দরকার। তোরা ঘুমা ... সমরিক প্রভূর আশ্বাস বানীতে আমরা আবার ঘুমিয়ে যাই.. কিন্তু .. বরং বার সামরিক অদ্ভুত্থান পালাটা অদ্ভূত্থানে যখন আমাদের মায়র দেহ রক্তাক্ত হয়ে যায়, বার বার আমার ধর্ষীতা মায়ের চিৎকারে আমাদের ঘুম হালকা হয়ে আসে তখন তারা বাকশাল জুজুর পাশা পাশি ভারতীয় জুজুর ভয় দেখায় । আমরা আতংকে অস্হির হই । বলে আমার মাকে রাষ্ট্রিয় ভাবে মুসলমান বানাতে হবে ।আমার মায়ের কপালে বিসমিল্লাহ লিখে দেয়া হয়। দুখিনী মাকে মুসলমানী করানো হয় , তারা বলে তাইতো তোদের মা কাঁদছে ।
এমন সময় শুনতে পাই আমাদের সামরিক প্রভূ নিহত হয়েছে আমরা জাগতে চাই কিন্তু আমাদের আরেক নতুন সামরিক প্রভূ আসে তারা আমাদের ঘুমপারানী গান গেয়ে ঘুম পাড়ায় প্রভু পত্নীও ঘুম পাড়ানী গান গায় তলে তলে আখর গুছায়। সামরিক প্রভূর পতনের পর বেসামরিক প্রভূ আসে আমরা ঘুমিয়ে ই থাকি আমার দুখিনী মা বারবার ধর্ষীতো হয় দরিদ্র মা বিশ্ব দরবারের এক কোনে মাথা নিচু করে থাকে আর তার সোনার সন্তান দের জন্য চোখের পানি ফেলে, বির বির করে বলে একদিন তোরা জাগবি তোরা জাগ আমার দু:খ দূর কর! । আমরা সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকি সময় হলেই আমরা জাগবো কবে সেই সময় ? আমিও জাগতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৩৪