বাসা থেকে বারংবার চাপ দেয়া হয়; কিংবা খেয়াল রাখা হয় "উজ্জ্বল ক্যারিয়ার vs গুড রেজাল্ট" । সম্মানের প্রথম বর্ষে তা মাথায় রেখে চলেছিলাম; কিন্তু হঠাৎ জীবনের বাঁকে প্রশ্ন এসে দাঁড়াল "জীবনের মানে কি"... সম্ভবত দ্বিতীয় বর্ষে এরকম কয়েকটা status দিয়ছিলাম what are you feeling চয়েজে । তৃতীয় বর্ষে এসে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছিলাম life should be "just simple" কিন্তু how it will be possible.
যখন বাবা আমার অবস্থান পাশের এলাকার মেধাবীটির নাম এনে বলে you should create yourself "as like him". যখন মুসলিম হয়ে কোরআন পড়ে আবার শুনতে হয় good result will feed you আসলেই তো তাই সমাজে যারা গোল্লা মারা ছাত্র তাদের অবস্থান ঐ বনের ছাউনীর নিচে; যা বৃষ্টি এলে ফাঁকফোকর গলিয়ে ঝর্ণার ধারা নামে; শীতের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস ভিতরের প্রাণীগুলোকে যাচ্ছেতাই ভাবে অত্যাচার করে । দিনের আলোতে সাহেবের বাড়ির গোশতের ঘ্রাণ জিবের জ্বল গিলে স্বাদ কি পেট পুরতে হয় । সেই জীবন কি ? কেউ চাই ।
আমার বাবা যখন দেখবে যেখানে টাইটেল ওয়ালার কল্যাণে তাঁর পরিবারের সবাই সমাজের সবার দ্বারা নমঃ নমঃ পাচ্ছে; সেখানে স্বাদ জাগতেই পারে নিজের নমঃ নমঃ পাবার।
হায় সম্মান ! হায় সম্মান ! কি দরকার এতো ? মুখ ফুটিয়ে যে তাই বলতে পারি না ।
যখন উদাহরণ টানতে পারি না ALLAH is my creator; এবং তিনিই আমার রিযিক পর্যাপ্ত বরাদ্ধ রেখেছেন; একটী কণা গিলার সাধ্য নেই তাঁর অনুমতি ব্যতীত । সম্মান তো তাঁর পাবার দরকার; দাস হয়ে কেন অন্য দাসের দ্বারা শাসিত হব । সম্মান চাই, রিযিক চাই তাহলে কি দিবেন?
হ্যাঁ; দিবেন যখন নিজের আস্থা; বিশ্বাস; সম্মান সব তাঁর জন্য বরাদ্ধ রাখবেন তখন তিনি আপনার সামনে সব এনে দিবেন ।
যখন নিজের অজান্তে নিজেকে চালাক বানাবেন; স্রষ্টাকে ধোঁকা দিবেন তখন পরীক্ষাকে ফাঁদই মনে হয় ।
চোখের সামনে রঙিন পর্দায় যখন দেখে দেখে বড় হয় টুপি পরিহিত মানুষটি সমাজের একমাত্র অপদস্থতার শিকার; লাঞ্চনার শিকার তখন কোন বিবেকবান বাবা চাবে "আমার সন্তান মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের জীবন চয়েজ করে নিক ।"
হায়! কি বোকা মানুষ ছিল তাঁরা । একজনের নামে আরবের সমৃদ্ধ কিংবা বিত্তবান মহিলা যখন সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল তখন তিনি কিনা তা সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়েছিলেন । তাঁর অনুসারীরা নাকি একটি খেজুরের ছাউনির নিচে বেঁচে থাকার পথ চেয়ে নিয়েছিল ।
কি ! করেছিলেন উসমান (রাঃ) নিজের সব দিয়ে দিয়েছিলেন; সেখানে আমি; আপনি শুধু অন্যকে মেরে কেড়ে নিয়ে সম্পদ বাড়ানোর ধান্দাময় সমাজে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি ।
যে চাচ্ছে তাঁকে আরও নিগৃহীত করতেছি; ভাই এটাই কি ইসলাম আর তারাই কি মুসলিম ।
যখন রাসূল (সাঃ) কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে; এক পেট সম খাওয়ার চিন্তা না করে সাত পেট সম খাওয়ার চিন্তা আমাদের মাঝে থাকবে; তখন তো রিযিকে বরকত থাকবে না ।
তখন ক্যারিয়ার; হ্যাপি লাইফ নিয়ে চিন্তা করতে হবে ।।
জীবনকে সামনে না রেখে জীবনের নিয়ন্ত্রণদাতাকে সামনে রাখার সাহস যার মাঝে আছে সেই কেবল এই সমাজ এবং রীতিকে ডিঙ্গিয়ে আরাধনার জায়গা তৈরি করতে পারে । ভোগবাদে মত্ত; মানুষের তৈরি মনন দিয়ে আরাধনা হয় না ।
সিদ্ধান্তের মাঝ সাগরে আছি না পারছি বাবাকে বলতে; না পারছি আরাধনার স্থানকে স্থায়িত্ব করতে । বাবা ঠিকই চাচ্ছে ছেলে উম্মাতে মুহাম্মাদী হউক; কিন্তু ছেলের সামনে চয়েজগুলো উম্মাতে ভোগবাদীকে দাড় করিয়ে কি উম্মাতে মুহাম্মাদী হওয়া সম্ভব । তখন মানতে হয় a good life need a good carrier.
১৫ই শাবান ১৪৩৭ হিজরি