চিরচেনা সেই লোভাতুর চোখ মাপবে না তোমাকে আজ রাতে,
পাবে না দম আটকে আসা মদের কটু গন্ধ
কিংবা সিগারেট-ধরা কালচে ঠোঁটের ফাঁকে
ঝিলিক দেয়া হায়নার দাঁত আর জিভের লকলকে স্পর্শ;
কড়কড়ে নোটের প্রলোভন থাকবে না তোমার সামনে-
শুনবে না খিস্তি-খেউড় বা অশ্রাব্য নামকরণে
তোমার এবং তোমার জন্মদাত্রীর অবমাননা!
আজ কারো সম্মুখে সাজাতে হবে না তোমার রূপের পসরা-
দরকার নেই রঙিন ঠোঁট-কাঠির সাজ,
সস্তা দামের কোন উগ্র সুগন্ধি আর চেহারার মিথ্যা চাকচিক্য।
কেঁপো না... মেয়ে, বস্ত্র-হরণ হবে না মোটেও-
কেউ ছোঁবে না যত্র-তত্র.. শরীরের অলি-গলি,
সইতে হবে না একপাক্ষিক কামুক দৈহিক কসরত-
ছড়াবে কোন বীর্য-বিষ শরীর থেকে শরীরে,
রাত শেষে ভয় নেই কড়ায়-গন্ডায় পাওনা বুঝে নিতে
লোমশ হাতের বেহিসেবী আচঁড় সমস্ত দেহ জুড়ে;
বুভুক্ষের মতো কেউ নিংড়ে নেবে না আজ তোমার যৌবন-সুধা!
এ্যাই, রাতের নারী, যাবে নাকি আজ অন্য অভিসারে?
দেখাবে শুধু হৃদয়ের জৌলুস,
হাতে হাত রেখে একান্তে শোনাবে-
শত বছরের জমানো কথা;
সুখ-দুঃখ-হাসির অব্যক্ত দিনলিপি?
মায়াবী মুখখানির সমস্ত স্নিগ্ধতায় শুদ্ধ হবে নষ্ট পৌরুষ-চেতনা;
দু'চোখে চোখ রেখে জেনে নেবে-
তুমি পণ্য নও, ভোগ্য নও, নও রমনযোগ্য মাংস-পিন্ড
কন্যা-জায়া-জননী-ভগ্নীর আচ্ছাদনে
তুমি-ই অর্ধাঙ্গী... চির-মমতাময়ী।।