গল্পটার কাহিনী যাই হোক না | গল্পটার সারাংশ যাই থাক না | গল্পকারের ফাঁদ মস্তিষ্কের তারিফ না করে পারছি না | গল্পের প্রধান চরিত্র ছিল নর্তকী |
ধাক্কার উপর ধাক্কা | এক হ্যাঁচকাটানে গাছের ফুল সহ ফল দরদর করে পরছিল | প্রতিশোধ | হ্যাঁ প্রতিশোধ নিচ্ছে নারী কলঙ্কের বিজ্ঞাপন দিয়ে | মেয়েটি ভৃত্য | চোখ মুখ অর্ধ মৃত পাখি | ডানাগুলো স্নায়ুহীন নিস্তেজ পালক |
মহামান্য ধর্ষকাপাধ্যায় | নারীর শরীরের গন্ধে পুলিশ কুকুর | আঃ ! কি আত্মতৃপ্ত | ধর্ষকাপাধ্যায় তৃপ্তি রসনায় ঢেকুর তুললেন | নর্তকী অবলীলায় বললেন , ছিঃ ছিঃ তুমি !
ধর্ষকাপাধ্যায় বললেন , হ্যাঁ আমি | নারীর আবার সতীত্ব | এই নে পুরস্কার |
ততক্ষণে নর্তকী মাটিতে বিশ্বাসঘাতকতার যন্ত্রণায় কটকট করছিলেন | রক্ত আর রক্ত | এতক্ষণ যে রক্ত চুক্ষুটা শরীরর শাসন করছিল | তার সতীত্বের রক্তে সিক্ত শয্যা উপভোগ প্রসাধনি | তার পাওনা মেটানো হলো বুকে চাকু মেরে | এক-একটি শ্রী উপপ্যাধায় | ভীষণ মজার পুরস্কার | ময়ূর পালঙ্কে চোখবদ্ধ শারাসি মনুসংহিতা | কী রকম-ফের অভিশাপ নারী জীবনে | অভিশাপ কুড়ায় | নদীর মত নারী | দশভূজার মত নারী | কালীর মত নারী ! মায়ের মত নারী ! বলুন তো ,এসব প্রতীকি শান্তনা ছাড়া আর কী ? মনু যতটা সন্মান দিয়েছেন , তারচে ঢের অবহেলা দিয়েছে সপার্টে থাপ্পরে |
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১