অর্থহীন নিগূঢ় প্রলাপ
সিমাস হিনি(Seamus Heaney) স্মরণে
শক্তিমান কবিদের মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে একে একে আর
যাদের মৃত্যু হওয়া দরকার তারা শুধু বেঁচে থাকে
নির্লজ্জের মতো।
আমি পাথরকে কিভাবে দেখবো ফুল?
কিভাবে দেখবো আমি শরতের আকাশ?
আমার চোখের জ্যোতি ঘুমিয়ে যাচ্ছে,
কবির শরীরে সদ্য গ্রথিত ঘাসের মতো নুয়ে
পড়ছে আমার দেহ ।
নিশেঃষিত দিন শেষে পুর্বাকাশের আভা
অবলুপ্ত ফসিলের গায়; কিভাবে চিনবো আমি?
আমি পাথরকে পাথর হিসেবে দেখতে রাজি নই ।
শক্ত পাথরের চামড়ায় ক্ষুদ্র কীটের আনন্দময় জীবন আমাকে কে দেখাবে ?
আমার নিরাভরন চোখ কোন পুষ্পিত শোলোকে হয়ে উঠবে জ্যোতির্ময়?
আমি যখন মরে যেতে চাইবো অসহ্য যন্ত্রনায়, তখন
কে আমাকে বলবে-‘অন্ত্যত আর একটা দিন বাঁচো?
তোমার বেদনা নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখি’।
সৃষ্টির সলতে এখনো তো অনেকদূর পুড়তে বাকি
এখনো তো বিচ্ছুরিত আলোকে অনেক পথ হাটা বাকি কিন্তু
কবিকে কেন এতো তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয় মাটির আদিমতম সংস্করণে?
উফ্, বেদনায় আমার আত্মা কুঁকড়ে যাচ্ছে,
আমার চোখের কোনে জলের বদলে জমাট রক্ত।
যাদের মৃত্যু হওয়া দরকার তারা শুধু বেঁচে থাকে
নির্লজ্জের মতো ।
শক্তিমান কবিদের শুধু চলে যেতে হয়
পৃথিবী কাব্যের ‘অর্থহীন নিগূঢ় প্রলাপ’ বুঝবার আগেই
(অর্থহীন নিগূঢ় প্রলাপ, ডি মুন, ০৬/০৯/২০১৩, দুপুরঃ ১টা ১০)