somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলেটা ও মেয়েটা

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলেটার কোন নাম দেবো না।আসলে কেউ নাম দেবার চেষ্টাও করবেনা।কারন ছেলেটার এই গল্পে একটাই পরিচয় থাকে আর সেই পরিচয়টি হল "প্রেমিক"।
মেয়েটার অনেক নাম।সবগুলোই আদরের।পৃথিবীর সুন্দরতম পাখি কিংবা ফুলের নামে।কিছু নাম আবার ভালোবাসার,কিছু দুষ্টুমির, কিছু অভিমানের,কিছু নাম আবার কাছে আসার।ছেলেটা তাকে সব নামেই ডাকতো ।ছেলেটা মেয়েটাকে বুঝেনি তার ক্ষমতাও ছিলোনা। সৃষ্টির উপর সন্দেহ ছিল সত্যি কিন্তু ছেলেটার ভালোবাসার উপর সন্দেহ ছিল না।যেটা ছিল তার ডাকনাম ছিল বিশ্বাস।বিশ্বাস যখন চরমে ভালোবাসা তখন ইনফিনিটি।কিন্তু ইনফিনিটিও অংকে বাধা পরে থার্ড ব্রাকেটের কবলে শুদ্ধ বাংলায় তৃতীয় বন্ধন শক্তি।সরল কথা কিন্তু জটিল।মেয়েটা ছেলেটাকে একটা অসীম সীমানার মাঝে কাঁটাতারের সীমানা দেখিয়ে বলে আমাদের সীমানা শেষ।তারপর বিরহ আর মেয়েটার স্বভাবজাত বাকাচলনে প্রস্থান।প্রশ্ন হল ছেলেটা এখন নোমেন্সল্যান্ডে দাড়িয়ে কি করবে?ধাতব বুলেটের জন্য অপেক্ষা করবে নাকি মেয়েটার জন্য?
নাহ, এখানে ঈশ্বরের হাতের প্রয়োজন পড়বে কিন্তু নির্মম হলেও যে সত্য আমরা উপলব্ধি করতে পারিনা তাহলো ঈশ্বরের মানুষের মতো সেন্স অফ হিউমার নেই।সেতো ছেলে আর মেয়ে দুজনেরই ঈশ্বর।তাহলে প্রশ্নটা প্রশ্ন রেখে আমরা কাহিনীর শেষপাঠ দেখি।

মেয়েটা আবার নতুন ছেলে খোজে। চব্বিশ ঘণ্টারও কম ব্যাবধানে পেয়েও যায়।একা থাকাটা মেয়েটার কাছে কষ্টের নয় ভয়ের।প্রথম প্রেম দ্বিতীয় প্রেম সব প্রেমই চিরসবুজ। নতুন দূর্বা ঘাস।এবার চাঁদের গল্প বলি।তোমার আমার সবার প্রিয়তমা।চাঁদের কখনো তারার অভাব হয়নিতো তাই না?পূর্ণিমার আলোয় তুমি কিংবা আমি রুপালী আলো দেখে সব ভুলে যাই।তখন চাঁদের কলঙ্ক আমরা গোগ্রাসে খাই। 

ছেলেটাও কম যায় না কিন্তু।সেও ভালোবাসে।এগুলো আসলে ভালোবাসা নয় পরিবর্তন।বেচে থাকার জন্য একটা হলেও কারনের দরকার পরে।।অবাক হবার কিছু নেই।সে মেয়েটার মতো অতটা স্মার্ট নয়।কি বলব, অনেক সময় নিয়ে ফেলল যে, অনেকটা কচ্ছপের গতিতে চলে ও।আসল কথা হল সব "পিছুটান" কে ছেলেরা "কিছুটান" করতে অনেক সময় নেয়।ছেলেটা অপূর্ণতার ভিতর পূর্ণতা খুঁজে বেড়ায়।কিন্তু ভালবাসায় ওর জীবন চলেনা।ইস্পাতে কখনো কি মরিচা ধরে?
অনেক উঁচুতে মিনারের উপর দাড়িয়ে ছেলেটা মানুষ দেখে।ওগুলো মানুষ নয়, সব পিপীলিকা।ভীষণ ব্যাস্ত খাবারের খোজে।ছেলেটা আরও উঁচুতে উঠতে শুরু করে,ওর এখন আর উচ্চতা ভীতি নেই।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সামনে বিপুল, বিশাল চ্যালেঞ্জঃ মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম বিএনপি?

লিখেছেন শেহজাদ আমান, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



১. ভুল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতার অভাব

বিএনপি বাংলাদেরশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। লোকবল ও জনপ্রিয়তায় তাঁর ধারেকাছেও নেই অন্যকোনো রাজনৈতিক দল। মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক ধারায় আছে বলেই বাংলাদেশের মধপন্থী ও উদারপন্থী... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিঠি।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩০



চিঠি: এক হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির নাম

চিঠি—শুধু একটুকরো কাগজ নয়, এটি আবেগের স্পর্শ, অপেক্ষার মধুরতা, ভালোবাসার নিঃশব্দ উচ্চারণ। এক সময় মানুষের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল এই চিঠি। স্বামী লিখতেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ডিফেন্স গ্যালারী Defence gallery

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০১

মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে যাওয়া হলো নিজ বাড়িতে
ঢাকা ১৩ মার্চ ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ০১:০০ টায় সম্মিলিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমা করবেন আরেফিন সিদ্দিক স্যার..

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭


আরেফিন সিদ্দিক স্যারের লাশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। ক্যাম্পাসের সাথেই সংযুক্ত হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রাখা। শহীদ মিনারেও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেবে না, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাথর চোখের কান্না- ৩

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

অন্ধকারের ভাবনা.....

চোখের সমস্যার জন্য নানাবিধ টেস্ট করিয়েছি। যার মধ্যে অন্যতম Ophthalmoscopy, Funduscopy, Optic fundus, OCT (Optical Coherence Tomography এছাড়াও যেহেতু মাথায় যন্ত্রণা থাকে সেজন্য CT Scan এবং MRI করতে হয়েছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×