জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম নামাজকে ইসলামী জাগরণের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন,
ঘুমাইয়া কাজা করেছি ফজর
তখনো জাগিনি যখন যোহর
হেলায় ফেলায় কেটেছে আসর
মাগরেবের ওই শুনি আজান
নামাজে শামিল হওরে এশাতে
এশার জামাতে আছে স্থান!
বাংলাদেশের মহাকবি কায়কোবাদ নামাজের দিকে আহ্বান তথা সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদতের দিকে আহ্বানের নজির বিহীন মাধ্যম-- আযানের মধুর ধ্বনি বা হৃদয়ে গেঁথে যাওয়া বেহেশতী সূরের প্রশংসা করে লিখেছেন,
কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি
মর্মে মর্মে সেই সূর বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ নাচিল ধমনী
কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি।
নামাজের কল্যাণ ও গুরুত্ব প্রসঙ্গে ইরানের সমসাময়িক যুগের কবি রেজা ইসমাঈলী লিখেছেন,
নামাজের নূরে কর সুন্দর মুখমন্ডলকে
কেবলার দরজাকে উন্মুক্ত কর তোমার দিকে।
যদি হারিয়ে থাকো নিজ আত্মাকে
প্রেমময় নামাজের দর্পনে খুঁজে পাবে হারানো আত্মাকে।
নামাজ সম্পর্কে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার কিছু অংশ
মসজিদে ঐ শোনরে আযান, চল নামাজে চল।
দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই, বক্ষে পাবি বল।
ওরে চল নামাজে চল।।
তুই হাজার কাজের অসিলাতে নামাজ করিস কাজা,
খাজনা তারি দিলিনা, যে দ্বীন দুনিয়ার রাজা।
তারে পাঁচবার তুই করবি মনে তাতেও এত ছল।
ওরে চল নামাজে চল।
অন্য কবির ভাষায়-
খোদার প্রেমের অমৃত পান করবো নামাজ-সাগরে
মন-প্রাণ উজাড় করবো নামাজের অশেষ রহস্যের আধারে
দেখবো আল্লাহর নূরের দীপ্তি, চাইবো তাঁর মিলন ও একাত্মতা
সমস্ত কল্যাণের ফুল ফল হয়ে ঝরে নামাজের প্রান্তরে।
নামাজ সম্পর্কে আরেক কবি বলেছেন,
নামাজের পাখায় চড়ে যাব আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যে
চাইব খোদার কাছে সফরের অনুমতি নামাজের রহস্যে "
আমি" আবার কে? তাই তো বলি:
তাঁর স্মরণ বা জিকির রয়েছে ঠোটে আমার,
এ ঠোট বা জিহবা তো তাঁরই দান
(কোনো কিছুতেই) নেই আমার কোনো অবদান,
এ নামাজ নয় আমার বা তোমার,
বরং তিনিই তো মালিক নামাজের ।
========================================
প্রার্থনা ও মুনাজাতের বিশাল উদ্যানে এসো আমাদের সাথে
যেসব উদ্যানে বয়ে যায় বেহেশতী হাওয়া,
যে হাওয়া সুরভিত ঈমানের সুবাসে।
আমাদের সাথে চল দোয়া ও নামাজের জলসায়
দু-রাকাত প্রেমময় নামাজ পড়বো সেথায় শুভ্র
পিটিউনিয়া ফুল তুলে দু-হাত ভরে তোলো খোদার রহমতের নূরে।