আমার বাইরের আমিকে শাসন করে ভিতরের আমি। ভিতরের আমিকে শাসন করবে কে? সে দূরন্ত। একরোখা। অভিমানী।বড় বেশী আকাঙ্ক্ষা বিলাসী।
হে ঈশ্বর,
তুমি করিও শাসন। তুমিই করিও! হৃদয়ের জলবায়ু তুমি নিয়ন্ত্রণ করে দিও । দু'চোখ চোয়ানো দীর্ঘশ্বাসগুলো তুমি মেপে জুখে দিও। ঘুমঘোরে স্বপ্নরা যেন আসে নিঃশব্দ পায়ে।
জীবনের প্যারাগ্রাফে যে শূন্যস্থান। তুমি তাতে শব্দ বসিয়ে দিও।
এই একটা জন্ম আমি দাঁতে দাঁত চেপে অথবা বেখালে পুড়িয়ে কিংবা নিকোটিনের ধোঁয়ায় উড়িয়ে; যেকোন একভাবে অনায়াসে পার করে দিতে পারতাম। আহ্লাদী আবেগগুলোর বসত ভিটা উচ্ছেদের বদলা অহিংস আন্দোলন করে নয়, অস্ত্র প্রয়োগে নিষ্ঠুরভাবেই নিতাম। চাতক বাসনাগুলোর কাছে অনাবৃষ্টি যে কতটা দুর্বিষহ! একে একে ব্যাখ্যা দিতাম। কিন্তু আমার যে হৃদযন্ত্রে ত্রুটি ! মনের সাথে মস্তিষ্কের আমার চিরকাল দ্বন্দ্ব। এত আক্রমণ, এত আন্দোলন, এত যুদ্ধের প্রস্তুতি যার বিরুদ্ধে। তার বিমর্ষ মুখটায় কল্পনা করতে পারি না! ভীষণ আশ্চর্য! তাই না? সত্যিই তাই। অন্তরের গভীরতম কূপে খচখচানি ব্যথা পাই। এ ব্যথার অনুভূতিকে লোকে “ভালবাসা” নামক শব্দের প্রতিশব্দ বলে কি? জানা নেই!
ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪