somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের ওপর শকুনের লোলুপ দৃষ্টি

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাহবুবুল আলম //

বাংলাদেশেকে নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীরা নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে। যার আলামত আমরা লক্ষ্য করছি। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের প্রতিটি সূচকেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং ২০২১ সালের আগেই মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথেও দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সে সময়ই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় কলাবরেট সোজা কথায় উচ্ছিষ্টভোগী গোষ্ঠী ও আইএসআই বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে। গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এদেশকে আইএস স্টেট বানাতে বিরামহীন চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কেননা, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভৌগোলিকভাবে সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এমন এক অবস্থানে, যাতে এটি যে কোনো সময় হয়ে উঠতে পারে বৃহৎ শক্তিগুলোর স্বার্থদ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু। দুই উদীয়মান বিশ্বশক্তির সন্ধিস্থলে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। এই অঞ্চলটির রয়েছে অনাবিষ্কৃত বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। ভূ-কৌশলগত দিক থেকে মধ্য এশিয়া মূলত রাশিয়ার বর্ধিত অংশ, যা মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কৌশলগত গুরুত্বের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মধ্য এশিয়াকে নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা সাজাতে অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার একদিকে রয়েছে রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা আর আরেকদিকে রয়েছে চীনকে গভীর পর্যবেক্ষনে রাখা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উপর চীনের প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনাকে খর্ব করা। অধিকন্তু, মধ্য এশিয়া এবং বিশেষ করে কাস্পিয়ান সাগর তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল। এছাড়াও এই অঞ্চলে স্বর্ণসহ বহু মূল্যবান ধাতব পদার্থের খনি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের মতই এই অঞ্চল পৃথিবীর খনিজ সম্পদের প্রাচুর্যের দিক থেকে অন্যতম ধনী অঞ্চল। এই বিশাল সম্পদের প্রতি মার্কিন বিশালকায় পুঁজিবাদী কোম্পানিগুলো আকৃষ্ট এবং বিনিয়োগের নামে কোম্পানিগুলো এই অঞ্চলে প্রবেশ করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তিত দৃশ্যপটে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে। কেননা, বাংলাদেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ভারতের ‘ভূ-কৌশলগত সীমানার’ মধ্যে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ শক্তি চীনের নিকটবর্তী দেশের অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে ভারত ও চীনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের দিকেই তাদের নজর বেশি। আর সে কারণে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চায় সাম্রাজ্যবাদীরা। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলতে সারা দেশে গুপ্ত হত্যা, জঙ্গিদের আস্ফালন উস্কে দেয়া হচ্ছে কি-না তাও বিবেচ্য বিষয়।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথমদিকে জিএসপি ইস্যুতে চাপে রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে সরকার থেকে জিএসপি ইস্যুকে খুব একটা প্রাধান্য না দেয়ায় এখন আইএস ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছে এরা। বাংলাদেশে লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতা, বিদেশী নাগরিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় কখনো প্রত্যক্ষ আবার কখনো পরোক্ষভাবে অভিযোগ করে আসছে যে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে সরকার থেকে বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। এমনকি সরকার মনে করে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব স্বীকার করার জন্য সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে আসছে। জিএসপি ও আইএস ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপে রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন কৌশল নিয়েছে। আর আইএস নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকলে, তা সরবরাহ করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানালেও সুনির্দিষ্টভাবে এখনও কোন তথ্য দিতে পারেনি তারা। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের জঙ্গীবাদবিরোধী অবস্থান দেশে-বিদেশে প্রশংসিতও হয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সরকারের এই জঙ্গীবাদবিরোধী নীতিকে বিভিন্ন সময় প্রশংসা করেছে। তবে এসব সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার অভিযোগ করে আসছে, বাংলাদেশে আইএস রয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইএসের অস্তিত্ব স্বীকার করার জন্য বাংলাদেশকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে একের পর এগিয়ে যাচ্ছে দেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনের বড় খাত পোশাক শিল্পের ওপর থেকে জিএসপি সুবিধা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নানা অজুহাতে কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে । বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে পুরোপুরি পঙ্গু করে দিতেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে ঢাকা-যুক্তরাজ্য সরাসরি কার্গো সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। জিএসপি ইস্যুটিকে দেশটি রাজনৈতিকভাবে নিয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ। কেননা, বাংলাদেশকে শর্ত দেয়া হয়, জিএসপি পেতে হলে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ধীরে ধীরে সকল শর্তই পূরণ করে। এসব শর্ত পূরণে বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবুও জিএসপি সুবিধা পায়নি বাংলাদেশ।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার ঢাকা-লন্ডন কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে চাপে রাখার নতুন নতুন কৌশল কি-না এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। যে অজুহাত দেখিয়ে বৃটিশ সরকার ঢাকা-লন্ডন কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট (আইএস) উত্থানের পর বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আর ব্রিটিশ সরকার শুধু বাংলাদেশেই বিমান পরিচালনা করছে না। বিশ্বের অন্য কোন দেশে বিমান ও কার্গো বিমান চলাচল বন্ধ না করলেও দেশটি বাংলাদেশেই কার্গো বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসব কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, বর্তমানে বাংলাদেশে যে টার্গেটে কিলিং চলছে তার পেছনেও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই টার্গেটেড কিলিং এর লক্ষ্য শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কিনা তাও ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। এ প্রসংগে সম্পতি একটি সহযোগী দৈনিকে প্রখ্যাত সাংবাদিক আব আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এক নিবন্ধে বলেছেন,‘দেশের শহরগুলোতে পেট্রোলবোমায় নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যার পর এখন যে এই টার্গেটেও কিলিং চলছে, এগুলো আসলে রিহার্সাল। এর মূল টার্গেট শেখ হাসিনা। আন্দোলন ও সন্ত্রাস দ্বারা শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানো যাবে না; পঁচাত্তরের মতো সেনাবাহিনীর একাংশকে বিভ্রান্ত করে হত্যাকান্ডে সহযোগী করা যাবে না, কিংবা ২০০৪ সালের মতো প্রকাশ্য জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে নিধন করা যাবে না এই উপলব্ধি থেকেই এই টার্গেটেড কিলিংয়ের রিহার্সাল শুরু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যতই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকুন না, এই গুপ্ত ঘাতকদের বন্দুকের তাক থেকে তিনি শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাবেন না বলেই হয়ত তারা আশা করছে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতও তো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ছিলেন। আলামতগুলো স্পষ্ট। পঁচাত্তরের আলামতগুলো কি এখন কারও চোখেই ধরা পড়ছে না? বিপুল জনপ্রিয়তার অধিকারী শেখ মুজিবকে আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। নির্বাচনে হারানো যাবে না, সুতরাং শুরু হলো হত্যাপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টির নিপুণ পরিকল্পনা। প্রকাশ্য হত্যা ও গুপ্তহত্যা দুই-ই শুরু হলো। শুরু হলো রিলিফের দ্রব্য লুটপাট, নদীতে ভাসিয়ে দেয়া। রহস্যময় ম্যান ছেরুমিয়ার আবির্ভাব।’
আমরা যদি একটু পঁচাত্তর পরিস্থিতির দিকে ফিরে তাকাই তা হলে কী দেখতে পাই। সে সময়ও বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাতের জন্য এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে, তাঁর সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করা এবং দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে প্রমাণ করা বঙ্গবন্ধুর সরকার দেশ শাসনে অক্ষম। তাই প্রচার, ষড়যন্ত্র, প্রকাশ্য ও গুপ্তহত্যা সব মিলিয়ে দেশে এক ভয়াবহ অরাজক অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার জন্য। এই ধরনের পরিকল্পনা আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশেও দেখেছি। মিসর এবং চিলিতে এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইতিহাস সবারই জানা। চিলিতেও সিআইএর নীলনকশা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আলেন্দের জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার জন্য গুম-খুন ও গুপ্তহত্যা ব্যাপকভাবে শুরু করা হয়। এবং এক পর্যায়ে আলেন্দের জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার প্রচার কাজে লাগিয়ে আলেন্দেকে হত্যা করা হয়েছিল।। তাই অনেক কুটনীতিকই বাংলাদেশের বর্তমান টার্গেটেড কিলিং এর বিষয়টিকে সেসব ষড়যন্ত্রের সাথে না মিলিয়ে পারছেন না।
আমরা যদি একটু ভেবে দেখি তা হলেই দেখতে পাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয় ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টাকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ, গুম বা হত্যার জন্য মার্কিন মুলুকে বিএনপি পন্থী কিছু নেতা যে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে তা ফাস হয়ে যাওয়ার পর সরকার ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে বিএনপির নেত্রীর উপদেষ্টা ও সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার ও তার স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে বিএনপির নেত্রীর আরেক উপদেষ্টা দৈনিক ‘আমার দেশ’ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর পরই কিন্তু বাংলাদেশে এই টার্গেটেড কিলিং শুরু হয়। এর সাথে যুক্ত হয় নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিষয়টিও। কাজেই এ ধরনের ইস্যুর আড়ালে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা যে করবে না তা বলা যাবে না। কেননা বিভিন্ন কারণে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ যার লিগেসে বহন করছে শেখ হাসিনা তাকে কিছুতেই সামাজ্যবাদীদের পছন্দ নয়। কারণ এর পেছনে রয়েছে আর এক ইতিহাস। আর সেই ইতিহাস হলো এদের রঙ্গচক্ষুকে উপক্ষো করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের ক্ষত এখনো শুকোয়নি। তার ওপর সেই বঙ্গবন্ধুরই কন্যা শেখ হাসিনা এদের হুমকী ধমকী ও রক্ষচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিজ অর্থে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করা ক্ষেত্রে চুড়ান্ত ধাপে উপস্থিত হয়েছেন। জিএসপি না দিলে টিফফার মতো চুক্তি বায়বায়নে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে একছত্র মার্কিন ইচ্ছাতে পানি ঢেলে দিয়েছেন। তাই এসব কারণে শেখ হাসিনাকে এদের পছন্দ নয়। তাই শেখ হাসিনার সরকারকে সরিয়ে দেয়ার নানা ষড়যন্ত্রে তাদের সুরসুরি বা ইন্দন যোগানো অনেকটাই ওপেসিক্রেট।
আমরা জানিনা, শেখ হাসিনা কতদিন শকুনদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবেন। কেননা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বের একক কোন পরাশক্তি একা কিছুই করতে পারবেনা। কিন্তু তাদের সাথে যে আছে দেশীয় চতুর্ভজ শক্তি। আর এ চতুর্র্ভজ শক্তি হলো- প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, একশ্রেণীর সুশীল সমাজ, এক ধরনের মিডিয়া ও জঙ্গিগাষ্ঠী। এ চতুর্ভজ শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে যে কোন সময় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলে কি-না তা নিয়ে দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিক শঙ্কিত।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমেরিকানরা ভীষণ কনজারভেটিভ

লিখেছেন মুনতাসির, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

আমেরিকা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নেই—এটা প্রথমেই বলে ফেলা ভালো। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমেরিকা তথা উত্তর আমেরিকাতে আমার যাওয়া হয়েছে বেশ কিছুবার। সবগুলো ভ্রমণ যোগ করলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্রগ্রামে যৌথবাহিনীর ওপর ইসকনের এসিড হামলা সাত পুলিশ আহত।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

এসিড নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্য



চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ইসকন সমর্থকদের হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানব সভ্যতা চিরতরে ধ্বংস হবে কি করে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬



সে এক বড় অদ্ভুত বিষয়।
চিন্তা করে দেখুন এত দিনের চেনা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশাল বিশাল ইমারত ভেঙ্গে যাবে, গুড়িয়ে যাবে। মানুষ গুহা থেকে বেরিয়ে আজকের আধুনিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×