somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবা, আমি কি ৫০০ টাকা ধার পেতে পারি?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলেঃ বাবা, তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?
বাবাঃ হ্যা, অবশ্যই। কি সেটা?
ছেলেঃ বাবা,তুমি ঘন্টায় কত টাকা ইনকাম করো?
বাবাঃ সেটা তো তোমার জানার দরকার নেই। আর এ ধরনের প্রশ্ন কেনো করছো?
ছেলেঃ আমি জাস্ট এমনিতেই জানতে চাই। প্লিজ বলো না, তুমি ঘন্টায় কত টাকা ইনকাম করো?
বাবাঃ ঠিক আছে, তোমার জানার যেহেতু এতই আগ্রহ তাহলে বলি। আমার ঘন্টায় ইনকাম ১০০০ টাকা।
ছেলেঃ ও আচ্ছা (মাথা নিচু করে)
ছেলেঃ বাবা, আমি কি ৫০০ টাকা ধার পেতে পারি?
বাবা প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে,
“ও আচ্ছা তুমি খেলনা-টেলনা কিছু কিনবে, তাই আমাকে ঐ প্রশ্নটি করেছো তাই না? বেহায়া ছেলে! তোমার লজ্জা থাকা উচিৎ! একবার ভেবে দেখো তুমি কতটা স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছো। আমি রাতদিন পরিশ্রম করি, তোমার এরকম চাইল্ডিস বিহেবিয়র দেখার জন্য? যাও সোজা বিছানায় যাও। তোমার মুখ আমি দেখতে চাই না!”
ছোট্ট ছেলেটি শান্ত ভাবে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।
লোকটির মেজাজ আগের চেয়ে আরো বেশি খারাপ হতে লাগলো। সামান্য কিছু টাকার জন্য ছেলেটি এমন একটি প্রশ্ন করার সাহস পেলো কি করে!!
ঘন্টাখানেক পর লোকটির মেজাজ একটু ঠান্ডা হলো। মনে মনে ভাবলো, ছেলের বোধ হয় সত্যি সত্যি ৫০০ টাকা খুব দরকার ছিলো। ও তো কখনো টাকা চায়না। লোকটি দরজা খুলে ছেলের রুমে ঢুকলো।
বাবাঃ তুমি কি ঘুমিয়ে পরেছো আব্বু?
ছেলেঃ না বাবা। আমি জেগে আছি।
বাবাঃ সরি আব্বু, আমি বোধ হয় খামাখাই তোমার সাথে এতটা খারাপ আচরন করেছি। আর বেশকদিন ধরেই আমি অযথা তোমার উপর রাগ ঝাড়ছি! এই নাও ৫০০ টাকা।
ছোট্ট ছেলেটি এক লাফে বিছানা থেকে উঠে গেলো। হেসে বললো, থ্যাংকু বাবা!
ছেলেটি তারপর বালিশের নিচ থেকে দোলানো মোচরানো কিছু বের করলো। লোকটি দেখলো ছেলের কাছে আগে থেকেই বেশ কিছু টাকা ছিলো। লোকটির মেজাজ আবার খারাপ হতে লাগলো। ছোট্ট ছেলেটি আস্তে আস্তে টাকাগুলো গোণা শেষ করে বাবার দিকে তাকালো।
বাবাঃ তোমার কাছে তো আগে থেকেই টাকা ছিলো, তারপরও কেনো টাকা চাইলে?
ছেলেঃ কারন তখন আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিলো না, এখন আছে।
বাবা, আমার কাছে এখন ১০০০ টাকা আছে। আমি কি তোমার এক ঘন্টা সময় কিনতে পারি? প্লিজ আগামীকাল একটু তাড়াতাড়ি বাসায় এসো। আমি তোমার সাথে ডিনার করতে চাই।
বিস্ময়ে হতভম্ব লোকটি ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। আর পাগলের মত ছেলের কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রিয় কন্যা আমার- ৭৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২



প্রিয় কন্যা আমার-
ফারাজা, তুমি কি শুরু করেছো- আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! রাতে তুমি ঘুমানোর আগে ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাতে যাও। প্রতিদিন তোমার মুখে ঘুমের দোয়া শুনতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি আমি আর আমাদের দুরত্ব

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩



তুমি আর আমি
দুই বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে,
নেই কোন লোভ চুম্বনের ,
ছোঁয়ারও কোন প্রয়োজন নেই
অথচ প্রতিটি নিঃশ্বাসে কেবলি তুমি।

তোমার হাসি সুবাসিত নয়,
কিন্তু সে আমায় মাতাল করে
যেন তরংগ বিহীন কোন সুর বাজে
মন্থর বাতাসে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নববর্ষের শোভাযাত্রা নাম বদল করছি না, পুরোনো নাম–ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি: ঢাবি উপাচার্য

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪



পয়লা বৈশাখে ফি বছর চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

পহেলা বৈশাখ ও আনন্দ শোভাযাত্রা: বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন

লিখেছেন ডা. মোহাম্মদ মোমিনুজ্জামান খান, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬

পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে একটি সর্বজনীন উৎসব, যা শুধুমাত্র বাংলা নববর্ষের সূচনা নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক জ্বলন্ত প্রতীক। এই দিনটির সঙ্গে জড়িত আনন্দ শোভাযাত্রা, যা... ...বাকিটুকু পড়ুন

'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×