
অস্পষ্ট মুখটা দেখো না আর
হৃদয়টা তার চেয়ে অনেক স্পষ্ট;
স্পর্শ না করে অনুভব করতে চেষ্টা করো
আমাকে, আমার হৃদয়কে--
মায়ের মতো যে নিবেদিত-নিস্বার্থ ভূমি
তার সরল - শুদ্ধ আঙ্গিনাকে;
এখানে দৃষ্টি ভোলানো আকাশ আছে
দিগন্ত জোড়া স্বপ্নিল আভাস আছে
বাতাসে দারুচিনি সুখের গন্ধ
আর মাটিতে আপন করে নেবার প্রতিশ্রুতি
দু:খের মাঝে আছে সুখ
হারাবার মাঝে পাবার আনন্দ
তাইতো আমি এ নদীমাতৃকার বুকে
জলোছায়া হতে চাই-----
সুরমা-কুশিয়ারা-ধলেশ্বরী-তুলসিগঙ্গা হয়ে
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ব্রক্ষপুত্র
আরও শত সহস্র নদী বেয়ে
একদিন বিলীন হতে চাই প্রিয় বঙ্গো-সাগরে।
আকাশ থেকে যেমন মেঘকে পৃথক করা যায় না
প্রকৃতি থেকে বনানী
সাগর থেকে বারি
তেমনি আমার হৃদয় থেকে তোমাকে
হে জন্ম- জননী।
বুকের বা পাশের
ছোট্ট ছিমছাম ঘরটার মধ্যখানে
উজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে বসে আছো তুমি
তোমার অনুপম স্মৃতি।
তোমার অপূর্ব নির্ভেজাল মুখের ছায়া পড়েছে
হৃদয়ের তপ্ত জমিনে
সে ছায়ার জ্যোতি
চাঁদের স্নিগ্ধতাকেও হার মানায়।
হৃদয়টাকে মনে হয়-----
দিগন্ত জোড়া মেঘ
সীমান্ত জোড়া পৃথিবী
আর অশান্ত সাগর বারি।