রাঙ্গামাটির দেশে যা
এখানে তোকে মানাইছে গো.......
এক্কেবারে মানাইছে নাই গো..........
গান গাইতে গাইতে আমরা ১১জন ২৪ সেপ্টেম্বর চললাম লাল পাহাড়ের দেশে।একজন বাদে সবাই স্কুলের ফ্রেন্ড।
ঈদের আগেই ২৪ তারিখ রাতের (১১-৩০)তূর্ণা নিশীথার টিকিট বুকিং দেয়া ছিল।
উত্তেজনায় ঈদ কাটলো। তারপর এলো সেই কাঙ্খিত ২৪ সেপ্টেম্বর।গান বাজনার জন্য সাথে নিলাম ঢোল,মন্দিরা,ঝুনঝুনি,কৃঞ্চকাঠি,বাশি।
কমলাপুর থেকে ঊঠলাম।কু ঝিক ঝিক কু ঝিক ঝিক। সেই সাথে আমাদের আনন্দ।ট্রেনে আমাদের বয়সের আরো কিছু ছেলে পেয়ে গেলাম। কার্ড খেলা চললো। থেমেথেমে গান হলো।এভাবে কখন যে রাত পার হয়ে সকাল হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।
চট্টগ্রামে নামার পর রেল ষ্টেশন থেকে বহদ্দারহাট।সেখানে নাস্তা সেরে উঠলাম কাপ্তাইগামী বাসে।
সারারাত ঘুম হয়নি।তাই বাসে উঠে সবার একটু ঘুম ঘুম ভাব এল।
কিন্তু রাস্তার পাশের সৌন্দর্য রেখে কি আর ঘুমানো যায়???? তবে রাস্তা বেশ ঝুকিপূর্ণ ছিলো।একটার পর একটা বাক।
কাপ্তাই পৌছে আমারা একটা বোট নিলাম।উদ্দেশ্য যেতে যেতে রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করা,আরেকটা উদ্দেশ্য ছিলো সময় বাচানো। যেনো পরের দিন অন্যকিছু দেখতে পারি।
কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ পানি আর চারিদিকের পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে চললাম।
দুই পাহাড়ের মাঝে ব্রীজ।আমাদের সেনাবাহিনী অনেক কাজ করে।
এই ছবিটা দেখে আমার বিদেশী এক বন্ধু বলেছে সুইজারল্যান্ড নাকি এমন। আমি মনে মনে বলেছি হবে হয়তো।সুইজারল্যান্ড তো আর দেখি নাই।তবে আফসোসও নাই।কারণ সুইজারল্যান্ডের লোকেরাও তো বাংলাদেশ দেখে নাই।
যাত্রার আড়াই ঘন্টা পর এলো শুভলং। আহ প্রকৃতির সে কি সৃষ্টি।
সেখান থেকে আমাদের যাত্রা আবার শুরু হলো।এবার সামনে পড়লো পেদা টিং টিং।
যায়গাটার কথা অনেক শুনেছি কিন্তু দেখে হতাশ হলাম। মনে হলো মনোরম পরিবেশে খাওয়া ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। ক্লান্ত ছিলাম সে কারণেও এমন লাগতে পারে।
পেদা টিং টিং থেকে গেলাম রাজবাড়ী।যায়গাটা নির্জন।
শেষ বিকালে রাজবাড়ী দেখে ছুটলাম এবার রাঙ্গামাটি শহরের উদ্দেশ্যে।
**রাঙ্গামাটির পর বান্দরবান পর্ব পরের পোষ্টে সাথে কিছু ছবি ব্লগ দেবার ইচ্ছা আছে।লিখতে আলসেমি লাগে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২০