রাস্তাঘাটে কতিপয় ভিক্ষুককে দেখলেই মনে হয় এরা আসলে অনেক অর্থ কষ্ঠে দিনাতিপাত করছে। আবার কিছু কিছু ভিক্ষার নামে ভং ধরেছে এর সংখ্যা পাঁচ শতাংশ,বাদবাকী পঁচানব্বই শতাংশ ভিক্ষুক কিংবা নিম্নবিত্তদের চেহারা দেখলে সত্যিকার অর্থেই তাদের জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে রিক্সা চাকল, ভ্যান চালক, চায়ের দোকানদার, ফেরিওয়লারা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে তাদের আয়-রোজগারে লাগিয়েছে কিন্তু কিস্তির যন্ত্রনায় তারাও দিশেহারা। টিসিবির লাইনে রোদ/বৃষ্টিতে দাড়িয়ে কষ্টকরা মানুষগুলোকে দেখলে মনে হয় তারা কি অবস্থায় আছেন!
বর্তমান সমাজের এই দশার জন্য দায়ী কে? জনগণ না সরকার? অন্যদিকে মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে মানুষের উপকারের জন্য কিন্তু কাজ দীর্ঘ হওয়ায় গত ১৫ বছর মানুষের যে ভোগান্তি পোহালো লাগলো আরও সামনে পোহাতে হবে এই মর্ম জ্বালা কে বুঝবে। আমি সরকারের সমালোচনা করছি না কিন্তু জনগণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমার মত আম জনতার কষ্ট গুলো অনুধাবন করতে পাচ্ছি। দেশের সব টাকা মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের নিকট। বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষ আজ দিশেহারা। সেদিন আমার মহল্লার পাশের মহল্লায় একজন নারী গলা ফাসি নিয়ে মারা গেল কিস্তি পরিশোধ না করতে পারার কারনে!
অন্যদিকে, বর্তমান এই সুদের রমরমা ব্যবসার দরুন কোন মানুষ কাউকে কোন ধার দেয় না। কারও প্রতি কোন বিশ্বাস নেই। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। নিম্ন বিত্ত মানুষের আজ নাভিশ্বাস বেরোয়! এর থেকে কি কোন মুক্তির উপায় নেই। তবে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এই যে,
ক) সুদ/ঘুস বানিজ্য বন্ধ করতে হবে।
খ) দফায় দফায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাজানো যাবে না।
গ) যারা নিতান্তই গরীব তাদেরকে বিনা শর্তে ধার দিতে হবে যাতে তারা কিছূ করে খেতে পারে।
ঘ) সঠিক অর্থনৈতিক বন্টন নিশ্চিত করতে হবে।
ঙ) সরকারের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
আমার মনে হয় উপরোক্ত বিষয়গুলি সরকার যদি আমলে নেয় তবে হয়তো কিছুটা স্বস্তি মিলবে। অন্যথায়, বাংলাদেশে ভূভূক্ষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে তাতে সামাজিক নৈরাজ্য শুরু হবে বলে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ সকলকে
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩