ব্যস্ততা আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে ভোঁতা করে দিয়েছে। প্রতিদিনকার জীবনকে করে তুলেছে যান্ত্রিক। আমরা বদলে যাচ্ছি চলমান সময়ের সাথে, সংগ্রামমুখর জীবন হয়ে উঠছে আরো অসহনীয়। তবুও সময়ের সাথে আমরা সব কিছু মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। একটা সময় হয়তো আসতে পারে, আমরা গৎবাঁধা ছকে আঁকা জীবনে বন্দী হয়ে পড়ব। তখন দুঃখ-কষ্ট কিংবা আনন্দ সীমিত হয়ে পড়বে নিজের ভেতর। কষ্টের সময় কেউ এগিয়ে আসবে না, দুঃখের দিনে পাশে দাঁড়াবে না কেউই। আনন্দময় মুহুর্তকে ভাগাভাগি করে নেয়ার মতো কাউকে কাছে পাওয়া যাবে না। এমনটা হতে পারে না। কারণ, সমাজের একটা মানবিক দিক আছে। মানুষের একটা মানবতাবোধ আছে। জন্ম, বেড়ে উঠা এবং কর্মময় জীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে মানুষ অনেক কিছু করতে চায়। হয়তো সেসব করার অবসর নেই। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন মানুষকে থামতে হয়, বিবেকের কাছে প্রশ্ন উঠে- আমরা কি করছি? কিভাবে চলছি? যারা আমাদের ওপর নির্ভর তাদের জন্য আমাদের কি কিছুই করার নেই? সেই জিজ্ঞাসার জবাবও দিতে হয়।
জীবন চলারপথে অনেক কিছুই করার আছে। আমাদের ছোট্ট একটা উদ্যোগ বদলে দিতে পারে গৎবাঁধা জীবন। ফিরিয়ে আনতে পারে জীবনের ছন্দ, উচ্ছল আনন্দ, হাঁসি ফোটাতে পারে অসহায় শিশুর মুখে। আমাদের ছোট্ট একটি শব্দ কিংবা বাক্য হতে পারে গুমোট কোনো পরিবেশ বদলে দেয়ার নিয়ামক।
সমাজে নিত্যকার বৈষম্য, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব বদলে দিচ্ছে সব। তবে এসব বদলের ভেতর দিয়েও একটা আনন্দময় অনুভূতির জগৎ সৃষ্টি করে নেয় মানুষ। তবুও বাঁচে, বাঁচার আশা করে সবাই। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তীব্র মানসে পৃথিবীজুড়ে গড়ে উঠেছে হাজারো চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন, হাজারো সংগঠন আর হাজারো স্বপ্ন।
তেমনি একটি স্বপ্ন অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন “আমরা গোলাপ”। দেশ জাতী ধর্ম ও মানবতার জয়গান-মানুষে মানুষে ভাই, নেই কোন ব্যবধান’ স্লোগান কে সামনে রেখে ক্ষুদ্র অথচ অসম্ভবকে সম্ভব করার কষ্ট কঠিন পরিকল্পনায় অবিরাম পথ চলছে। “আমরা গোলাপ” মানুষদের বলছে- কারো জন্য কিছু করতে হলে অনেক কিছুই থাকার প্রয়োজন হয় না, নিছক সুন্দর মানসিকতা হলেই চলে। “আমরা গোলাপ” মানুষের ভিতরের শক্তিকে জাগিয়ে দিতে চায়। মানুষে মানুষে যে দূরত্ব, অলস সময় পার করার মানসিকতা থেকে সাধারণকে বের করে আনতে চায়। ব্যস্ত মানুষকে তার সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিতে চায়। তাদেরকে বুঝাতে চায় মানুষই “আশরাফুল মাখলুকাত”। তারাই পারে অন্যের পাশে দাড়াতে, অন্যের কষ্ট দূর করতে।
প্রথম প্রথম হয়তো একটা মানুষের পক্ষে অনেক কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু যেটুকু সম্ভব, তা কেন মানুষ করবে না। “আমরা গোলাপ” মানুষের ভেতর ভাবনা তৈরী করে- আমার দ্বারা হয়তো পুরো পৃথিবী বদলে দেয়া অসম্ভব, কিন্তু যেটুকু সম্ভব, তা কেন আমি করবনা? সেই ভাবনা থেকে দুই বছর আগে “আমরা গোলাপ” শুরু করেছিলো এক মহাযাত্রা। এক অবিচল বিশ্বাস আর অদম্য ইচ্ছা ছিল তাদের সঙ্গি।
হাজারো সমস্যার ভেতর দিয়ে কাটছে আমাদের সময়। এ সময়কে বদলে দেয়ার জন্য “আমরা গোলাপ” সবার কাছে নিবেদন করছে একটি ছোট্ট এবং ভালো কাজ করুন। যা হতে পারে একটা ধন্যবাদ দেয়া, কারো বিপদে এগিয়ে যাওয়া, পাড়ায় একটা পাঠাগার গড়ে তোলা কিংবা একজন স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য একসেট বইয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া।
সবাই সমান সামর্থ্যবান নয়, হবেও না। এটাই স্বাভাবিক। তাই নিজের সামর্থ্যের মধ্যে এগিয়ে যেতে হবে, এগিয়ে নিতে হবে পরিবার, সমাজ ও দেশকে। সেই প্রেরণায় থেকে “আমরা গোলাপ” কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য।
সিয়াম সাধনার পরেই আসছে-পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ কে সামনে রেখে চারদিকে চলছে জোর প্রস্তুতি। কেনাকাটার ধুম পড়েছে শহর বন্দর পেরিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে। বড় বড় বিপণী বিতান গুলো ধনীদের পদচারণায় মুখরিত। আমি অথবা আপনিও এর বাহিরে নয়। আজ হোক কাল হোক আমি বা আপনিও ক্রয় করব নিজের পছন্দের পোষাক। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়-আমার আপনার কেনার সাধ্য আছে বিধায় কিনছি। কিন্তু যাদের সাধ্য নেই, তারা?
তারা কি বাদ পড়বে ঈদের মহান আনন্দ থেকে। না! তা হয়না। তারাও আনন্দ করবে ঠিক আমাদের মতো। কিভাবে করবে তা ঠিক করতে হবে আমাদেরই।
ভাবনা/চিন্তা আর নিজেদের ভিতর লুকিয়ে থাকা ঘুমন্ত মানবতাবোধ থেকে প্রতিবারের মতো এবারও “আমরা গোলাপ”র উদ্যোগে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী রেলওয়ে সংলগ্ন বস্তি ও আশপাশের সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের জন্য নেওয়া হয়েছে "Eid festival with street children" নামক ঈদবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের। এ কার্যক্রমে শরিক হতে পারেন আপনিও। রশদ জুগিয়ে দিতে পারেন পথ শিশুদের নির্মল ঈদ আনন্দে। জোয়ার তুলতে পারেন সমাজ সেবার আরেকটি ক্ষুদ্র কর্মশালায়। হয়তো সে আশায় পথ চেয়ে মানবতা।
আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেন...........
(১) সরাসরি শ্রম দিয়ে..
(২) অর্থ সহায়তা দিয়ে...
(৩) নগদ ঈদবস্ত্র প্রধান করে...
যোগাযোগের ঠিকানা:
ডিজাইন ঘর, করিমপুর রোড, হামদর্দের পিছনে, চৌমুহনী, নোয়াখালী।
যেভাবে অর্থ সহায়তা পাঠাতে পারেন.....
বিকাশ নাম্বার
০১৭৩৯ ৫১১৫৯৭ (পারসোনাল নাম্বার)
০১৮১৭ ৫২০৯৬১ (পারসোনাল নাম্বার)
ব্যাংক একাউন্ট:
A/C Name: Afsar Uddin
A/C number: 4969
Islami Bank Bangladesh ltd.
Bank Road Branch, Chowmuhani. Noakhali.
মোবাইল: ০১৭৩২- ৬৩৯৩৭৩
আমাদের ফেবু গ্রুপ লিঙ্ক: Click This Link
ইভেন্ট লিঙ্ক: Click This Link
এছাড়াও যে কোন প্রয়োজনে ডায়াল করতে পারেন...
০১৮৪৯ ৬৫২৪৩৯ (মুনীম ফয়সাল)
০১৮৩২ ৪২৬১৯৫ (শাহেদুল ইসলাম বিপ্লব)
০১৮১৭ ৫২০৯৬১ (রুবেল)
০১৮১৩ ৬৭৬৫০১ (আব্দুল ওয়াকিল)
০১৮৫৬ ২৩১৬২৬ (শেখ ফরিদ)
০১৮১৬ ০৫৪৮৩৮ (শরীফ)
০১৮৩৮ ৫২৫০২৮ (মীর নাঈম)
০১৭৬৩ ৪৭২৭৫০ (ঝুম্মান)
০১৮১১ ৬৩৪২৭৫ (শামীম)
অনেক স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে এবারও আমরা হাতে নিয়েছি এই ছোট্ট উদ্যোগটি। সফলতা আসবে আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছায় আপনাদেরই মাধ্যমে। মনে রাখবেন আপনার ছোট্ট একটি পদক্ষেপ বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। সবাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারাক।