somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখভুক এঁঙতূরাক-একটি অবৈজ্ঞানিক স্বল্পকাহিনী

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

: বাবা, কাল তো স্কুল ছুটি, চলনা বেড়াতে যাই?
: কাল যে আমার একটা জরূরি মিটিং রে মা, অনেক বড় একটা কনট্রাক্ট
: সব ছুটির দিনেই তোমার এরকম মিটিং থাকে কেন বাবা, এর আগের ছুটিতে বললাম তখনও তোমার মিটিং....
: মন খারাপ করেনা মা, তোর জন্য নতুন গেম্‌সের সিডি আর খেলনা নিয়ে আসব। আচ্ছা ঠিক আছে, এবার আমরা বিদেশে যাব বেড়াতে কেমন?
: হয়েছে থাক, মেয়েকে আর এইসব মিথ্যে প্রবোধ দিওনা
: আচ্ছা তুমিতো পার কাল মেয়েকে নিয়ে একটু বেরিয়ে আসতে? আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিব
: আমার বুঝি কোন কাজ নেই, কাল আমাদের ঐ বুটিকের শোরুমের লোকাশান দেখতে যাব। তোমার আশায় বসে থাকলে ইহ জীবনে কোন উন্নতি হবেনা। আর তোমার যে গাড়ি, এসি টা তো যখন তখন সমস্যা করে...
: হুম, আচ্ছা যাও নতুন গাড়িও হবে
: নতুন গাড়িই বুঝি সমাধান! তবুও তোমাকে পাবনা তাই না?
: বোঝোই তো, আমার এত সময় কোথায়?

: আম্মুউউউ..... !!! বাবাআআআ.......
: কি হয়েছে, কি হয়েছে মামনি!!!??
: দেখ ঐটা কি
: তাইতো! নড়া চড়াও করছে, পেছনে আস আমি একটা লাঠি নিয়ে আসি
: জনাব, আমি অতি নিরীহ, আমাকে আঘাত করবেন না প্লিজ
: আরে, এ তো কথা বলে? এই কে তুই....
: আমি সুখভুক রাজা এঁঙতূরাক এর সামান্য ভৃত্য
: মানে?
: আমাদের রাজার নাম এঁঙতূরাক। রাজ্যটা এই জগতের বাইরে। অনেক দুরে। পৃথিবীর মানুষের নিষ্পাপ সুখের মুহূর্তগুলি উনি ভক্ষন করেন, বিনিময়ে খেলনা দিয়ে মন ভুলিয়ে রাখেন।
: খেলনা দিয়ে? কার মন?
: এই যেমন আপনার। আপনি ছুটে চলবেন কেবল ইটের বাড়ি, নতুন গাড়ি কিংবা নিত্য উদ্ভাবিত যন্ত্রের পিছনে। আপনার সকল রোমাঞ্চ কেবলই এসব আয়ত্বের মধ্যেই নিহিত থাকবে। ঠিক ছোটবেলায় নিজের খেলনা গুনে যেভাবে রোমাঞ্চিত হতেন। এরই ফাঁকে যে সুখের মুহুর্ত গুলি হারাবেন, সেগুলোই আমি নিয়ে যাব রাজার জন্য। আরেকটা কথা, এই কথা গুলো কাউকে বলবেননা প্লিজ, সুখের বিশুদ্ধতার জন্য আমাদের মিথ্যা কথা বলার ক্ষমতা রাজা কেড়ে নিয়েছেন।

নিরবতা.......

: (মুখের দিকে তাকিয়ে) বাবা, আমার খেলনা লাগবেনা, তুমি যাবে কাল আমাকে নিয়ে বেড়াতে?




-শেষ

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিরপেক্ষতা চাই, তবে রিমোট কন্ট্রোলটা আমাদের হাতে থাক !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০২



যখন কেউ রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে, "আমরা নির্বাচনে অংশ নিবো , তবে নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা ছাড়া নয়," তখন বুঝতে হবে—ব্যাপারটা ঠিক ভোট নয়, বিষয়টা আম্পায়ার। আম্পায়ার যদি আগেই খেলার স্কোর জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সরকার রক্ষার আন্দোলন

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৭



৩রা অগাস্ট , ২০২৪ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ঐতিহাসিক এক দফায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন সহ সকল গুম, খুনের বিচারের আওয়াজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি—রাজনীতি হবে সবচেয়ে বড় চাকরিদাতা!

লিখেছেন মুনতাসির, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৩

দেশের বড় এক রাজনৈতিক শক্তি ঘোষণা দিয়েছে, ক্ষমতায় আসলেই মাত্র ১৮ মাসে সৃষ্টি হবে এক কোটি নতুন চাকরি। দেশের সাধারণ মানুষ তো খুশিতে আতঙ্কিত—খুশি এ কারণে যে চাকরি আসবে, আতঙ্কিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিযিক ও হিকমাহ: আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত নিয়ামতের অন্তরঙ্গ উপলব্ধি

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৫১

রিযিক ও হিকমাহ: আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত নিয়ামতের অন্তরঙ্গ উপলব্ধি

ছবি অন্তর্জাল থেকে।

মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় নিয়ামত কী? অনেকেই বলবেন—অঢেল ধন-সম্পদ, বিলাসবহুল জীবনযাপন, উচ্চশিক্ষিতা ও রূপবতী স্ত্রী, কিংবা দামি গাড়ি। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল!

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:০৪





মাঝেমধ্যে খুব বেশি মন চায় চলে যাই চিরঘুমের দেশে।
এতো বেশি চষে বেড়িয়ে মূর্খের মতো ভেবেছিলাম জমেছে কিছু সঞ্চয়।
কিন্তু বেলা শেষে দেখি সবই অনাদায়ী দেনা সঞ্চিতি!



মাঝেমধ্যে মনে হয় নিদেনপক্ষে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×