কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের হাতে সরকারের পতন হবে না; শেখ হাসিনার উচিত ছাত্রলীগ ঠেকানো; ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা প্রথমত ছাত্র নয়, এবং এরাই "মুক্তিযোদ্ধা" কোটার অপুরণ অংশ দখল করে চাকুরী নেবে একদিন। আবার, আজকাল বেশীর ভাগ ক্যাডার সারা জীবনেও চাকুরী করে না, এরা চাকুরীজীবিদের চেয়ে অনেক বেশি আয় করে চাঁদাবাজী ও বে-আইনী ব্যবসা করে; ফলে, তারা বেকারদের ভয়ানক কষ্ট কোনদিনও অনুভব করে না। মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদরা জীবনে চাকুরী খুঁজেনি; রিকসা থেকে লাফ দিয়ে পাজারোতে উঠে গেছে।
ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা সাধরণ ছাত্রছাত্রীদের কেন আক্রমণ করছে; সরকার রক্ষা করার জন্য, নাকি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য? শেখ হাসিনা নিশ্চয় জানে যে, এইসব সাধরণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে সরকারের কোন ক্ষতি হবে না। তারা আশ্বাস পেয়েছে, তারপরও যদি রাস্তায় ২/১ দিন থাকতে চায় থাকুক; রাস্তায় থাকার মাঝেও আনন্দ আছে। শেখ হাসিনা অকারণে বদনামের ভাগী হচ্ছে উনার মগজহীন ক্যাডারদের কারণে!
শেখ হাসিনার আশ্বাস পাবার পর, মতিয়া চৌধুরী বা অন্য কারো বক্তব্যের কারণে রাস্তায় যাওয়া ঠিক নয়; বাংলাদেশর পুলিশে বর্তমান ছাত্রদের বড় ভাইয়েরা আছেন, যাদের মগজের পরিমাণ খুবই কম; কোন সময় গুলি টুলি করে ২/১ জনকে মেরে ফেল, অন্ধ করে ফেলে কেহ বলতে পারবে না; সামান্য চাকুরীর জন্য প্রাণ হারানো কিংবা সিদ্দিকুর রহমানের মত অন্ধ হওয়া ঠিক হবে না।
ছাত্রদের বুঝতে হবে যে, সুযোগ পেলে, তাদের মাঝে শেখ হাসিনা-বিরোধীরা ঢুকার চেষ্টা করবে; শেখ হাসিনা ও কিছু মানুষের মধ্য রাজনীতি নিয়ে ৩৬ বছর ষড়যন্ত্র চলছে এই দেশে; শেখ হাসিনার উপর অনেকের আক্রোশ আছে; তারা ভেঁড়ার ছামড়া পরে দলে ঢুকে যেতে পারে, কিংবা আপেল নিয়ে উপস্হিত হতে পারে বুদ্ধি দেয়ার জন্য। সুতরাং, রাস্তায় থাকার সময় সবদিক ভাবতে হবে, দেখতে হবে, নিজেদের ভুলের জন্য যেন কাউকে পুলিশের গুলির শিকার হতে না হয়; বেঁচে থাকলে চাকুরী হবে একদিন!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০২