প্রশ্নফাঁস জেনারেশন কমপক্ষে একটি আন্দোলনে নেমেছিল, এটাই বড় কথা; কি নিয়ে আন্দোলন করছে, ফলাফল কি, সেটা পরের ব্যাপার! কেহ মরেনি, এটা আরো ভালো কথা। শেখ হাসিনা কোটা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবং সামনে ভোট, থালাবাটি কিছু একটা ধরায়ে দেবেন; কিংবা কমপক্ষে 'প্রশ্নফাঁসে বাধা না দিয়ে' সবাইকে খুশী রাখবেন।
ঘরে ডিম কম থাকলে, এবং বাচ্চা বেশী থাকলে, বুদ্ধিমান চাষী ডিমকে কেটেকুটে ৭ ভাগ করে না, তারা বেশী বেশী মুরগী পালন করেন; এটাই বুদ্ধমানের কাজ। ডিম কম থাকলে, ছেলেমেয়েরা মারামারি লাগবে, মেয়েরা কোনদিনও ডিম পাবে না; তারা মায়ের জাতি, চুপ করে থাকবে।
আসলে আন্দোলনটা হওয়ার দরকার ছিলো, "সবার জন্য চাকুরী সৃষ্টির" জন্য; ফাঁসকরা প্রশ্নে নিশ্চয় এই ধরণের কিছু ছিলো না; বাংগালীরা চাইতে ভুল চায়, খাইতে ভুল খায়, আন্দোলন করলে ভুল বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে।
কোটা পদ্ধতি হলো থালাবাসন ধরায়ে দেয়ার পদ্ধতি; ৪৭ বছর আগে যা করা হয়েছিল, উহা কিবরিয়া, সাইফুর হয়ে মুহিত অবধি এসে গেছে; ৪৭ বছরে অনেক কিছু হলো: ফালু, তারক, কোকো, কর্নেল ফারুক, ড: মহিউদ্দিন আলমগীর, বেগম জিয়ারা কোটা কোটা করে মরেনি, যা পেয়েছে ঘরে নিয়ে গেছে; যারা নকল মকল করে, পাশ করে চাকুরী খুঁজেছে, তাদেরকে থালাবাসন ধরায়ে দিয়েছে।
প্রশ্নফাঁস জেনারেশন কথায় কথায় বলেন, "উই হেইট পিলিটিক্স"; আন্দোলন পলিটিক্সের অংশ; মাথায় পলিটিক্স থাকলে কুমীরের মত ঠকতে হবে না বারবার; পলিটিক্স না জানলে, কি চেয়ে কি পাবেন, সেটাও বুঝতে পারবেন না।
আন্দোলন প্রমাণ করেছে যে, শেখ হাসিনা চাকুরী সৃষ্টির জন্য কিছু করছেন না, উহার মিনিষ্টারেরা অদক্ষ; সময় হয়েছে জাতির জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার। এ্তদিন বিএনপি বিএনপি করে সময় কাটায়েছেন, এখন বিএনপি নেই, কাজে মন দেয়ার সময় হয়েছে। প্রশ্নফাঁসেরা ভুল আন্দোলন করলেও, উহা মানুষের চোখে পড়েছে, খড়ের গামলায় সারাদিন ঘুমালে সমস্যা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৭