এখন চলমান কোটা আন্দোলনের বক্তৃতায়, লেখায়, সংবাদে যে শব্দটি বেশী বেশী উচ্চারিত হচ্ছে, সেট হলো, "মুক্তিযোদ্ধা কোটা", এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানকর। চলমান আন্দোলনে যদি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মিটিং মিছিল করতে বলে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধাদের উচিত হবে সম্পুর্ণভাবে ইহার থাকে দুরে থাকা।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটার দরকার ছিলো না কোনদিন; আওয়ামী লীগ সরকার চালু করে করেছে, গরু মেরে জুতা দান করার জন্য।
মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের সরকারের অংশ ছিলেন; তারা বিনা-বেতনে, বিনা-খাবারে যুদ্ধ করে, প্রান দিয়ে দেশ স্বাধীন করার পর, তাঁদেরকে 'চাকুরীচ্যুত' করেন তাজুদ্দিন সাহেব; কিন্তু উনার ও উনার কেবিনেটের সবার চাকুরী থেকে যায়, পুর্ব পাকিস্তানের পাকী-সমর্থক প্রশাসনের সবার চাকুরী থেকে যায়।
এরপর, চাকুরী পান শেখ সাহেব; তিনি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী কেন গেলো সেটার খবর নেননি কোনদিন; নিজের চাকুরী নিয়ে তিনি খুশী ছিলেন; গরীব পরিবারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকুরীর কথা নিয়ে নন্দলালেরা থেকে শুরু করে এলিটরা ভাবেনি কোনদিন; ৪৭ বছরে এই দেশের কোন শিক্ষিত মানুষ এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা কোন সালে চালু হয়েছে, কে জানে! তবে, উহা নিশ্চয় জেনারেল জিয়া, এরশাদ, বা বেগম জিয়া চালু করেনি; উহা নিশ্চয় শেখ হাসিনা চালু করেছেন; উনার বুদ্ধিগুলো সব সময় ম্যাঁওপ্যাঁও ধরণের। এখন দরকার উহার অবসান ঘটানো; মুক্তিযোদ্ধাদের সামান্য পরিমাণ সন্তান এখনো চাকুরী ব্যতিত থাকলে, তাদেরক কোটার বাহিরে রেখে চাকুরী দেয়া সম্ভব।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নাম দিয়ে, আওয়ামী লীগের লোকজন ও বিএনপি'র লোকজন আসল সুবিধা নিয়েছে। এখন এই কোটা বন্ধ করা হোক।
শুধুমাত্র, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দরিদ্র পরিবারের নারী, ছোট জনগোষ্টীর জন্য কোটা রেখে, বাকী সব কোটার অবসান করুক শেখ হাসিনার সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকুরী দেয়ার জন্য একটা সংস্হা গড়ে তোলা হোক শিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।
আরেকটা নতুন কোটার দরকার, "বিসিএস'এ মেধাবীদের চাকুরী না দেয়ার কোটা"। এই তথাকথিত মেধাবীরা মেধা খাটিয়ে ভয়ংকর চুরি-ডাকাতি করে; ওখানে আবুলেরা থাকলে, বেশী চুরি করতে জানবে না, এবং সহজে ধরা খাবে। আজকে যারা আন্দোলন করছে, কালকে সরকারী চাকুরী পেয়ে এরা সবাই ডাকাতী করবে, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২