যাঁরা বেগম জিয়ার জন্য আসলেই চিন্তিত আছেন, তাঁদের জন্য সুখবর, বেগম জিয়া অসুস্হ নন; আমি বেগম জিয়াকে দেখার জন্য জেলে যাইনি; কিভাবে বলছি যে, বেগম জিয়া সুস্হ আছেন? সোজা ব্যাপার: মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বলছেন, বেগম জিয়া ভালো নেই; অর্থাৎ বেগম জিয়া সুস্হ আছেন। যদি মির্জা ফখরুল বলতেন যে, বেগম জিয়ার অবস্হা, প্রান যায় যায়; তখন ধরে নিতে হবে যে, বেগম জিয়ার পায়ের ব্যথা বেড়েছে।
বেগম জিয়া অসুস্হ হলে বুঝা যাবে সহজেই, শেখ হাসিনা ডা: প্রাণ গোপাল মোপালকে নিয়ে ওখানে হাজির হবেন। বেগম জিয়াকে যদি বাংলাদেশে কেহ বেশী পছন্দ করেন, সেটা হলো শেখ হাসিনা। বেগম জিয়া বিএনপি'র সভাপতি হিসেবে থাকাতে শেখ হাসিনা সহজে জয়ী হয়ে আসছেন। শেখ হাসিনা আরও কিছু সময় নিজকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চান, শেখ হাসিনা উনাকে জীবিত ও সুস্হ দেখতে চান।
১৯৯১ -১৯৬৬ সাল পিরিয়ড, ও ২০০১-২০০৬ সাল পিরিয়ড মিলে কমপক্ষে ১ কোটী ২০ লাখ মানুষ মৃত্যবরণ করেছেন; এদের মাঝে কমপক্ষে ৯০ লাখ মানুষ বিনা চিকিৎসা, কিংবা প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন; ভাগ্য ভালো হলে, এরা হয়তো মৃ্ত্যুর আগে সামান্য গ্রাম্য কোয়াক-ডাক্তার থেকে হোমিও চিকিৎসা পেয়েছেন, কিংবা পানি পোড়া বা তাবিজ জুটেছে ভাগ্যে। বেগম জিয়া নিশ্চয় এসব মানুষ নিয়ে কোনদিন চিন্তিত ছিলেন না; আজকে সময় হয়েছে উনাকে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে সামান্য ধরণা দেয়ার। উনাকে একটা হোমিওপ্যাথীর ডাক্তার দেখালে ভালো হবে; সাথে সামান্য তাবিজ ও পানি পোড়া দেয়া সঠিক হবে।
সামান্য কয়েদী হয়ে তিনি আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে জাতির বউয়ের আদর পেয়ে, রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করায়ে গেছেন। আপনার আমার মত ব্লগার ১ মাস চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায়ও স্হান পাবো না; ভুলে যান আদমজী জুটমিলের শ্রমিক কিংবা গার্যমেন্টস'এর মেয়েদের কথা।
উনাকে যে খাবার দেয়া হয়, বাংলাদেশের মতবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার উৎসবের দিনও সেই খাদ্য পাবার কথা নয়; হাতী মরলেও কোটী টাকা; এত ভালো খাবার খেলে কেহ কোনদিন অসুস্হ হওয়ার কথা নয়; সর্বোপরি, ৩৪ বছর পর, উনি ভালো অবসরে আছেন। বেগম জিয়া প্রতিদিন সামান্য রেড-ওয়াইন খান, এতে উনার হার্ট সুস্হ ও সবল আছে; আশাকরি, উনি দীর্ঘদিন সুস্হ থাকবেন।
উনার পেচনে, এখন কমপক্ষে গড়ে বাংলাদেশ সরকারের ৫০ জন কর্মচারী কাজ করছেন; উনাকে নিয়ে পুরো আওয়ামী লীগ চিন্তিত; প্রশাসন চিন্তিত, ব্লগারেরা চিন্তিত, বস্তীর লোকজন চিন্তিত; বিদেশী কুটনীতিবিদরা চিন্তিত; ফলে, উনি অসুস্হ হলে জাতি ও বিশ্ব জানতে পারবে।
বেগম জিয়া বিশ্বাস করতেন যে, মুক্তিযুদ্ধে বাংগালীরা পাকী বাহিনীর সাথে পেরে উঠবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০