শেখ হাসিনা বলছেন, তিনি শেখ সাহেবের স্বপ্ন পুরণ করছেন; শেখ সাহেব নেই, কিন্তু উনার স্বপ্ন পুরণের কাজ চলছে পুরোদমে, সাধারণ মানুষ যাঁরা জীবিত আছেন, যাঁরা প্রতিদিন চেষ্টা করছেন নিজেদের সামান্য স্বপ্ন: বাচ্চাদের শিক্ষা, মানানসই একটা চাকুরী, থাকার মতো সামান্য স্হান, মরণের আগে হলেও সামান্য চিকিৎসা, সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য কেহ নেই। বেগম জিয়া ও বিএনপি জেনারেল জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন; সৌভাগ্যবান জেনারেল ছিলেন নিশ্চয়ই, মরার পরও উনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন চলছে, আর এদিকে জীবিত অদক্ষ তরুণ ও নতুন গ্রাজুয়েটদের স্বপ্ন নিয়ে বেগম জিয়ার মাথা ব্যাথা নেই!
নাকি আমার বুঝার মাঝে ভুল আছে? শেখ সাহেবের স্বপ্ন, জেনারেল জিয়ার স্বপ্ন পুরণ করলে জনতার স্বপ্ন পুরণ হয়ে যাবে! আমার জানা মতে, শেখ সাহেবের স্বপ্ন ছিল বাকশাল; বাকশালই যদি শেখ সাহেব ও জনতার স্বপ্ন হয়ে থাকে, এই ব্লগে বাকশালের পক্ষে পোষ্ট দিয়ে গালি খেয়ে যাচ্ছি কেন? ব্লগের ৫ লাখ রেজিষ্ট্রিকৃত ব্লগারদের মাঝে ১০০ জনও তো পাওয়া যাবে না বাকশালের পক্ষে! আর জেনারেল জিয়ার স্বপ্ন কি ছিল? সেটা ব্লগার শাহিন-৯৯ ও ব্লগার কিরমানি লিটন বুঝায়ে বলতে পারবেন; আমার মতে, উনার স্বপ্ন ছিল ডিক্টটরশীপ, ক্যাপিটেলিজম, আইয়ুব খানের মতো কিছু একটা; আবার সেটার মাঝে সিআইএর স্বপ্নও ছিল!
শেখ সাহেবের স্বপ্ন ছিলো ৬ দফা, হয়তো সেখানে জাতির জন্য হাঁড্ডি মাড্ডি ইত্যাদি ছিলো, সেটাকে পুরণ করতে মানুষ শেখ সাহেবকে ভোট দিয়েছিলেন; সেটা কাজে লাগেনি; শেষে শেখ সাহেব ভেবচিন্তে বের করেছিলেন বাকশাল; শাহিন-৯৯'রা বলছেন উহা ফেরাউনের তন্ত্র। জেনারেল জিয়ার স্বপ্ন ছিল ১৯ দফা; শাহিন-৯৯ তো দুরের কথা স্বয়ং জিয়া এতগুলো দফা মনে রাখার চেষ্টা করেননি কোনদিন; জেনারেল জিয়া আসলে ভেতরে ভেতরে যা করছিলেন, উহা ছিলো ক্যু ঠেকানো; উনি যেই পথে এসেছিলেন, সেই পথে উনাকে অনেকে অনুসরণ করছিলেন; শেষে একদিন নেতার সাথে অনুসারীদের দেখা হয়েছিল।
যাক, জেনারেল জিয়ার চাওয়া পাওয়ার শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে; উনার চাওয়া-পাওয়ার সাথে বাংলার সাধরণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কোন মিল থাকার কথা নয়, মানুষ বন্দুক হাতে নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন না, তারাঁ কাজ করে অন্ন যোগান। শেখ সাহেবের বাকশাল মানুষ বুঝতে পারেননি; কারণ, তিনি মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করার গরজ অনুভব করেননি। সাধরণ মানুষের চাওয়া পাওয়া খুবই সহজ, সেখানে অগণিত দফা নেই, বাকশাল মাকশাল নেই, আছে: সামান্য শিক্ষা, সামান্য চাকুরী, সামান্য বাসস্হান, সামান্য চিকিৎসা; এগুলোর ব্যবস্হা করা সম্ভব, জাতির কাছে সেই সম্পদ আজীবন ছিলো , আজো আছে!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৩