বেগম জিয়া ১৯৮১ সাল থেকে এখন অনেক বেশী ধনী; তিনি একবার ৫ সীটে, পরে যথাসম্ভব ৫ বা ৩ সীটে জয়ী হয়েছিলেন; উনি ২ বার দেশ চালায়েছেন, পুরো দেশের মানুষ লাভবান হয়েছেন, কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; এটা হিসেবে করে বের করা সম্ভব! যাঁরা উনাকে সরাসরি ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা ২১ লাখের বেশী; এদের মাঝে কি পরিমাণ মানুষ সরাসরি লাভবান হয়েছেন? যেহেতু তিনি সরাসরি অনেক লাভবান হয়েছেন, উনার এলাকায় প্রতিটি পরিবার প্রত্যক্ষভাবে উনার থেকে লাভবান হওয়ার দরকার ছিলো।
আমাদের এলাকার এমপি'র পরিবার পাকিস্তান আমল থেকে কিছুটা ধনী ছিলেন, এখন তিনি আমেরিকান ডলারে আধা-বিলিওনিয়ার; উনি কয়েকবার এমপি ছিলেন, এলাকার অনেক তরুণকে সরাসরি চাকুরী দিয়েছেন। এলাকাবাসী ভয়ে ছিলেন যে, তিনি প্রায় ক্ষেত্রে যোগ্যতার চেয়ে বেশী উঁচু পদে এদের চাকুরী দিয়েছেন; বাস্তবে তাই ঘটেছে, উনি যেখানে ওদের বেশী চাকুরী দিয়েছেন, সেই আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান পুরো জাতির ক্ষতি করেছে বারবার। আমাদের পরিবার উনাকে ভোট দিয়েছেন, আমাদের পরিবার সব সময় চাপে থাকে যে, উনার ছেলে এলাকার লোকদের ক্ষতি করতে পারে, ভোট দিয়ে অকারণ বিপদ! আমাদের এলাকায় কোন চাকুরীর সৃষ্টি হয়নি, পুরুষেরা মোটামুটি বিদেশে থেকে, চাষবাস বন্ধ, বাজারে মহিলারাই বাজার করেন; গ্রামের বাজারের জন্য এটা নেচারেল নয়।
২০০৩ সালে ফালুকে যারা ভোট দিয়েছিলেন, তারা মতিঝিলের লোক ছিলেন না, তিনি কেরাণীগন্জ এলাকা থেকে লোক এনেছিলেন; প্রত্যকে ২০০ টাকা কিংবা তার চেয়ে বেশী ক্যাশ পেয়েছিলেন, সবাই বাসে করে এসে ভোট দিয়ে চলে গেছেন। এখন ফালুর অবস্হা দেখতে পারেন; বিএনপি ক্ষমতায় না থাকার পরও, ফালু ২০০৩ সাল থেকে অনেক বেশী ধনী।
তোফায়েল আহমেদ ১৯৭০ সাল থেকে এখন অনেক বেশী ধনী; ভোলায় উনার এলাকার লোকজন এখনো সেই সমান্তবাদের দিনের মতো বসবাস করেন; তোফায়েল আহমেদ সাহেব ভোলা গেলে পাঁজারোতে চড়ে যান, ভোটারেরা এখনো মাছ ধরছেন; দিনের শেষে সেটাই সাধারণ ভোটারদের জীবন।
মেয়র খোকা ভোট পেয়ে অনেক ধনী হয়েছিলেন; এখন দেশের বাহিরে থাকেন, দেশে হয়তো ফেরার সম্ভাবনা নেই। উনি বেশ পপুলার লোক ছিলেন উনার এলাকায়। এখন উনার অভাব কেহ অনুভব করছে না; উনার থেকে কেহ কি কিছুই পায়নি?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১