বেগম জিয়ার বয়স ৭৩ বছর, উনার অবসরের দরকার আছে, নাকি নেই? বেশীরভাগ বাংগালীরা ৬০ বছরে অবসরে চলে যান, বেগম জিয়া ১৩ বছর বেশী কাজ করে, জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন; জাতি তাঁকে কি অবসরে যেতে দেবে না? আমার মনে হয়, কমপক্ষে বিএনপি-জামাত উনাকে অবসরে যেতে দেবে না, শান্তিতে থাকতে দেবে না। উনি ৫ বছরের জন্য জেলে গেছেন, উহা আসলে উনার জন্য জেল নয়, উনার জন্য অবসর। নেপোলিয়নকে যখন জেলে দেয়া হয়েছিল, উনাকে সাহায্য করার জন্য বাটলার পাটলার দেয়া হয়নি; বেগম জিয়াকে কমপক্ষে একজন ফাতেমা দেয়া হয়েছে।
লালঘরে উনার অবসর জীবন আরো আনন্দময় হতো, যদি উনার পার্টির ২/৪ জন রাজনীতিবিদ ওখানে থাকতো; কথা ছিল, বিএনপি নেতারা উনার সাথে জেলে চলে যাবেন, এখন দেখা যাচ্ছে, একমাত্র ফাতেমাই কথা রেখেছে; ফাতেমাই আসল নেতা, সেই বেগম সাহেবাকে এখন সাহায্য করছে; আশাকরি, বেগম জিয়া এখন থেকে ফাতেমাদের অবদান ও আমান উল্লা আমানদের অবদানকে বুঝতে পারবেন।
বিএনপি-জামাতের কারণে বেগম জিয়ার শাস্তি ৫ বছর থেকে বেড়ে ১০ বছরে চলে যাবে; উনারা যা বলছেন, এতে বেগম জিয়ার প্রতিপক্ষরা খুশী হওয়ার কারণ নেই; ফলে, তারা ব্যবস্হা নেবে, তাতে বেগম জিয়ার জন্য খারাপ ছাড়া ভালো হবে না।
লন্ডন হলো এখন বিএনপি'র রাজধানী; বেগম জিয়ার জন্য, তারা ওখান থেকে এক আইনবিদ নিয়েছে; বিশ্বে বৃটিশ আইনবিদদের নাম আছে, ইনার নাম লর্ড আলেকজান্ডার চার্লস কারলাইল; নামের সামনে 'লর্ড'ও আছে, বুঝতে পারছেন, ইহা মওদুদ আহমেদ নন। তবে, লর্ড সাহেব এখনো বাংলাদেশের বিচারকদের সামনে আসার সুযোগ পাননি; যদি একবার ঢাকার কোন আদালতে উনি আসেন, ১ম দিনই নিজের নাম লিখতে 'লর্ড'এর যায়গায় 'ডল' লিখবেন, সন্দেহ নেই; তারপর উনি এমিরাটের নিকটবর্তী ফ্লাইট ধরবেন।
বিএনপি-জামাত কিন্তু বেকুবী কাজ করেছে, এই আইনবিদ ভয়েও ঢাকায় আসবে না, উহা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আগে কাজ করেছিল; ঢাকায় এলে উহা নিজেই ফেঁসে যেতে পারে।
কাজের মাঝে কাজ হবে, বেগম জিয়ার শাস্তি বেড়ে যাবে, ও আরো ২/১টা মামলায় উনাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬