আমাদের সরকার বার্মার বন্ধু চীনের সাথে কথা বলে দেখতে পারে, বার্মা যদি তাদের ফেরত নিতে না চায়, বাংলাদেশের সাথে সহায়তা করে, মানজুষগুলোকে ক্ষতিপুরণ দেক; ১০ লাখের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু মাত্র ২০ হাজার ডলার। সেই টাকায় বাংলাদেশ সরকার রোহিংগাদের জন্য বাংলাদেশে, ও অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের থাকার ব্যবস্হা করবে।
ঘুরেফিরে, বার্মা ওদের চাহে না; স্হানীয়রা চাহে না; যদি সেই দেশের মানুষ রোহিংগাদের না চাহে, সেখানে তারা বাস করতে পারবে না; আর বার্মা সরকার তাদেরকে অন্য এলাকায়ও নেবে না, যদিও বার্মার পুরো এলাকায়ই খালি পড়ে আছে।
ফেরত পাঠানোর চেস্টার সাথে এই নিয়ে সরকার কথা বলে দেখতে পারে; কারণ, রোহিংগারা ঐ দেশে আর থাকতে পারবে না; থাকার যায়গা হলেও ওদের জীবন কখনো মানুষের জীবনের কাছাকাছি কিছু হবে না।
রোহিংগাদের ফেলে-আসা গ্রামগুলোতে বার্মা সরকার নিজের টাকায় রাখাইনদের জন্য ঘর তুলে দিচ্ছে, এলাকাগুলো দখল করছে; এটা মুল প্ল্যানের অংশ। রোহিংগাদের ফেরত নেবে নেবে করে ওরা সময় হরণ করছে, বিশ্বকে একটু থিতিয়ে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে, সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষকে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করছে। সরকার নিজের টাকায় ঘর না তুলে দিলেও, পড়ে থাকা গ্রামগুলো রাখাইনরা নিজেরাই দখল করে নিচ্ছে।
আমাদের সরকার ফেরত-ইচ্ছুক ৮০৩২ জন রোহিংগার একটা লিষ্ট দিয়েছিল মগের বাচ্ছাদের হাতে; ওরা সেখান থেকে ওরা ৩৭৪ নেবে বলেছে; তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সরকার বাকীদের ব্যাপারে সব তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, ওগুলো রোহিংগা! ৫ লাখ রোহিংগা এখনো ক্যাম্পে আছে; চাইলে মগের বাচ্চারা নিজে এসে লিষ্ট করে নিয়ে যেতে পারে। ওরা আসলে সময় নষ্ট করে, বিষয়টাকে গা-সহা করে নেয়ার চেষ্টা করছে।
যেই পরিমাণ রোহিংগা ফেরত যাবে, তার থেকে অনেক বেশী রোহিংগা ফেরত আসবে ২/১ বছরের ভেতরে; আমাদের জাতি একটা মানসিক অস্বস্তিতে থাকবে এটা নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৫