News Link
এতদিন গ্রীকের রিপাবলিক ও গণতান্ত্রিক দার্শনিক সক্রেটিসকে "ফাদার অব ডেমোক্রেসী" বলা হচ্ছিল; একটা খালি যায়গা ছিল, "মাদার অব ডেমোক্রেসী"; অনেক শতাব্দী অবধি উহা পুরণ হয়নি, কাউকে পাওয়া যায়নি; যাক, সভ্যতার এই শুন্যস্হান গতকাল আমাদের দেশের এক নারী পুরণ করেছেন, তিনি হলেন আমাদের আপোষহীন নেত্রী, বেগম জিয়া; কাজটা নারী দিবসে হলে আরো ভালো হতো, শেখ হাসিনা উনার নারী দিবসের বক্তব্যে নামটা উল্লেখ করতে পারতেন। ( গ্রীকেরা আসলে "ক্লেইথেনেস"কে ফাদার অব ডেমোক্রেসী বলে থাকেন; সক্রেটিসকে আমি বানিয়েছি, উনাকে একটু বেশী সাহসী মনে হয়েছে, বাপের বেটা বিষ খেয়ে ফেলেছে শরবতের মতো )।
বেগম জিয়া জেলে যাবার পর, মির্জা সাহেব আমাদের রিজভী সাহেবের মত মগজ হারায়ে ফেলেছেন; বেগম জিয়া বুঝেছিলেন যে, মির্জা আসলে লিলিপুটিয়ান; সেইজন্য উনাকে ৫ বছর ঝুলায়ে রেখেছিলেন পরীক্ষায় করার জন্য, যখন পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছেন যে, মির্জা নির্ভেজাল লিলিপুটিয়ান, তখন উনাকে স্হায়ী পদ দিয়েছেন।
বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনার মাঝে একটি মিল আছে, উনারা যখন বুঝেন যে, একটা লোক মোটামুটি উনাদের থেকে কম জানে, তখন তাকে বড় পদ দেয়; যখনি দেখেন যে, লোকটা শিক্ষিত, ভালো, উহাকে আর পদ দেন না।
পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তির পর, আওয়ামী লীগের ২ জন নেতা শেখ হাসিনাকে বোধ হয়, বাড়ীতে তৈরি নোবেল পুরস্কার দিয়ে দিয়েছিলেন; মির্জা সেই সুযোগ কিছুতেই পাচ্ছিলেন না, বেগম জিয়া চুক্তিমুক্তি কিছুই করে না; যাক, এবার কমপক্ষে লালঘরে গেছেন; মির্জার জন্য এটা একটা সুযোগ। আজ সন্ধ্যায় মির্জা সাহেব আমাদের মাদার অব নেশনকে "মাদার অব ডেমোক্রেসী" বানায়ে দিয়েছেন ; মনে হয়, বিএনপি'র নেতারাও হতবাক হয়ে যাবেন।
আজকের রাতটা অপেক্ষা করেন, কালকে বড় কিছু একটা ঘটতে পারে; মির্জা নিশ্চয় ওবায়দুল কাদেরকে বড় চাপের মাঝে ফেলে দিয়েছেন; "গ্রান্ড মাদার অব ডেমোক্রেসী" পদটাও হয়তো বাংগালী জাতির ভাগ্যে আছে, দেখা যাক!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:১২