১৯৯৪ সালে তসলিমা নাসরিন প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে; উহা ছিলো বেগম জিয়ার সময়; জামাত-শিবির ও মৌলবাদীদের রাজত্ব ছিল প্রাইম মিনিষ্টারের অফিসে; এখন বেগম জিয়া লালঘরে, শেখ হাসিনার রাজত্ব তুংগে, এখন যদি তসলিমা দেশে না ফিরে, কখন সে ফিরবে? কথাটা এ'কারণে বলছি, বারবার শুনছি সে দেশে আসতে চায়। কেন আসতে চায়, তাও বুঝা মুশকিল; যেখানে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে বাংগালীরা পায়ে হেঁটে মেক্সিকো হয়ে আমেরিকা আসছে!
আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া যদি ফ্রি-ভিসা দেয়, ১৭ কোটীর মাঝে কমপক্ষে ১০ কোটী দেশ ছেড়ে পালাবে আগামী কাল; সেখানে তসলিমা কেন দেশে আসতে চায়?
আসলে, বাংগালীরা যেভাবে দেশ থেকে পালাতে চায়, প্রবাসী বাংগালীরা তেমনি প্রতিদিনই দেশে ফিরতে চায়, এটা এক বিচিত্র অনুভুতি; এই কারণেই তসলিম হয়তো দেশে ফিরতে চায়।
তসলিমা নাকি অনেক বই লিখেছেন, অনেক পুরস্কার পেয়েছেন, অনেক দেশে ছিলেন; বর্তমানে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়াদের মাঝে একটা সিম্বল, যিনি তার সম-নাগরিকদের হাতে প্রাণ হারাবার ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি উনার বই পড়িনি, উনার সম্পর্কে শুনেছি; তিনি আপনার, আমার মতোই, বা যেকোন বাংগালীর মতো বাংলাদেশের নাগরিক যিনি দেশে আসতে পারেন না জামাত-শিবির-বিএনপি, হেফাজত, কিছু ব্লগার, কিছু ইমাম, কিছু মোল্লাদের ভয়ে! ভয়ানক ব্যাপার!
এখন শেখ হাসিনার যুগ, এখন জামা্ত-শিবির বরফের মতো পানির নীচে মুল অংশ লুকিয়ে রেখেছে, বিএনপি বলতে রিজভী সাহেব, হেফাজত বলতে মোল্লা শফি সাহেব, যিনি শেখ হাসিনার সাগরেদ হয়েছেন, এই যুগে কেন তসলিমা দেশে ফিরছে না; এখন না ফিরলে কখন সে ফিরবে?
তসলিমা তার চুলের স্টাইল বদলায়ে, নতুন নামে সুইডিশ পাসপোর্ট নিয়ে, সেলোয়ার কামিজ পরে ভারত হয়ে, ট্রেনে দেশে এলে কেহ তাকে চিনবে না; দেশে কিছুদিন থাকলে, ভয় ভেংগে যাবে। তাকে এই ব্যাপারে সুইডিশ সরকার নিশ্চয় সাহায্য করবে। দেশে এলে, ঘনিষ্ট পরিচিতদের মাঝে থাকলে কেহ জানবে না; পরে জানলেও ক্ষতি নেই, দেশের মানুষ চাইবে না যে, জামাত-শিবির-বিএনপি বা হেফাজতের কেহ তাকে হত্যা করুক; মানুষই তাকে রক্ষা করবেন; দেশে জামাতী ফমাতী, বিএনপি মিএনপি, হেফাজত মেফাজতের বাহিরে কয়েক কোটী আসল বাংগালী আছেন এখনো।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯