শুনছি ভালোবাসা দিবসে কয়েক কোটী টাকার ফুল বিক্রয় হচ্ছে, নারীরা উপহার পাচ্ছেন সেদিন; টেলিফোনে দিনরাত ভালোবাসা চলছে পুরোদেশে; ৫ম শ্রেণীর মেয়েরও বয়ফ্রেন্ড আছে; মনে হয়, সুখী নারীর দেশে আছি আমরা।
বাংলাদেশে প্রাইম মিনিষ্টার নারী, রওশন এরশাদ বিরোধী নেত্রী, স্পীকার নারী, নারী মন্ত্রী আছেন আরো ২ জন; এ ছাড়া আরেক বড় দল, বিএনপি'র সভানেত্রীও নারী; সেইদলের একজন ভারিক্কী সুন্দরী মহিলা মাঝে মাঝে পুলিসকে কাং-ফু মারে; সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে নারীস্হানও বলা যেতে পারে।
আবার শুনছি যে, ধর্ষণের পরিমাণ বেড়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদ সীমা ছেড়ে গেছে, ভালোবাসার কথা বলে জিং জিং বেড়ে গেছে, বিয়ের আগে নাকি অনেকের বাচ্চা হচ্ছে , বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায় না; গার্মেন্টস'এ চাকুরী দিয়ে বিনিময়ে জিং জিং করছে; নারীরা মাথায় করে তেতালায় ইট তুলছে, জাহাজ থেকে বালি খালাস করছে; ১২ লাখ কিশোরীকে চাকরাণী বানায়েছে, যখন ইচ্ছা তখনই মারধর করে; অনেকে স্বদেশে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছে; বিদেশেও দেহ ব্যবসায় বাংগালী মেয়েদের নিয়োজিত করা হয়েছে; ভালোর থেকে খারাপ খবরই তো বেশী দেখছি।
সমাজে নারীর বর্তমন অবস্হান নির্ণয় করে, তাঁদের অবদান ও সমস্যা বুঝে, তাঁদের পারিবারিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারী দিবস চালু করা হয়েছিল আমেরিকায়, ১৯০৯ সালে; এটা করেছিলেন সোস্যালিষ্ট মনোভাবের লোকজন; সোস্যালিষ্টরা করাতে আমি নিজেই একটু গর্ব অনুভব করছি, আমি এসব লোকদের পছন্দ করি।
গত বছর বাংলাদেশে নারী দিবস পালনের সময় আমাদের নারী প্রাইম মিনিষ্টার, বিরোধী-নেত্রী, স্পীকার কিছু বলেছিনে নাকি? বলে থাকলে ভালো, মোটামুটি ব্লা ব্লা আর কি; না হয়, এই বছর বলবেন, সেটাও হবে ব্লা ব্লা। ভাবছি, আমাদের দেশের ক্ষমতা থেকে নারীরা চলে গেলে, দেশে নারীদের অবস্হা কি হবে?
মনে হয়, যদি প্রতিটি শিশুর পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব জাতি নেয়, আমরা শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হবো, এসব সমস্যা কমে আসবে; জাতির কাছে সম্পদ আছে; শেখ হাসিনার বা রওশন এরশাদের পকেট থাকে ১ পয়সাও দেয়া লাগবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৬