মগের বাচ্চারা ছোট লিলিপুটিয়ান বুদ্ধি খাটাতে চাচ্ছেে, মনে হয়: তারা সীমান্ত সৈন্য এনে বাংলাদেশের সাথে বিতন্ডায় যাবে; তারপর সীমান্ত জিরো লাইনে থাকা কিছু রোহিংগাকে গুলি করে মারবে; বলবে, এদের মাঝে "আরসা"(আরাকান রোহিংগা সলভেশন আর্মি) ছিল, বাংলাদেশের ভেতর থেকে বার্মিজ বাহিনীর উপর গুলি করা হয়েছে; এরপর বলবে যে, বাংলাদেশ "আরসা"কে সাপোর্ট করছে; এই অপবাদ তুলে হয়তো ডায়ালগ থেকে সরে যাবে; এটা একটা অনুমান মাত্র; বার্মা আমাদের সীমান্তে সৈন্য আনার অন্য কোন কারণ নেই, ওরা বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করার কোন লজিক নেই।
বাংলাদেশের ভেতরে, সীমান্তের জিরো লাইনে ২০/২৫ হাজার রোহিংগা বস্তি বানায়ে আছে; বাংলাদেশের উচিত, তাদেরকে ভেতরে নিয়ে আসা; তারা সেখানে থাকলে বাংলাদেশের কোন লাভ নেই; কিন্তু তাদের উপর গুলি চালিয়ে কিছুকে মেরে, "আরসা" ছিল বলে চালিয়ে দিতে সহজ হবে মগের বাচ্চাদের পক্ষে। বাংলাদেশ যখন ১০ লাখের বেশীকে নিতে পেরে্ছে, এই ২০/২৫ হাজারকেও নিতে পারবে।
বার্মা যদি বাংলাদেশের সাথে আলোচনা বন্ধ করে দেয়, বাংলাদেশের করার কিছুই থাকবে না; ওরা দোষ দিতে থাকবে যে, রোহিংগারা আরসা'র সাপোর্টার, তাদেরকে ফেরত নিলে বার্মা বিপদে পড়বে। তারা বারবার "আরসা" "আরসা" করলে, ক্রমে বিশ্বও সন্দেহ করার শুরু করবে, তখন সবদিক বন্ধ হয়ে যাবে। বার্মা কিন্তু কারো কথা শোনে না, সেই ইতিহাস ওদের আছে।
সীমান্ত থেকে রোনিংগাদের সরায়ে নিলে, তারা সীমান্তে গোলাগুলি করার সুযোগ পাবে না; যথাসম্ভব, ওরা বাংলাদেশের বিজিবি'র উপর গুলি চালাবে না। সীমান্তে তারা সৈন্য জড়ো করলে কারো কিছু আসে যায় না, ওরা কখনো বাংলাদেশ আক্রমণ করবে না।
বার্মার আলোচনার প্যাটার্ণ দেখলে, তাদের রোহিংগা ফেরত নেয়ার প্রস্তুতি দেখলে, মনে হয় যে, তারা আসলে রোহিংগাদের ফেরত নিবে না; প্রস্তুতির নামে তারা রোহিংগাদের মাঝে ভীতির সন্চার করছে। এখন থেকে বাংলাদেশকে ভাবতে হবে, রোহিংগারা যদি ফেরত না যায়, তাদেরকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯