এবারের বইমেলায়, শতকরা ৯০ ভাগ বই'এর মান খুবই নীচু ছিল, শতে ১০টি বই ছিল মান-সম্পন্ন; ব্যাপার কি, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন কি বই লেখা শুরু করেছে? আশাকরি, ব্লগারদের বই ভালো ক্যাটেগরীতে পড়েছে ; ব্লগার বিএম বরকতউল্লাহ খুবই সফল হয়েছেন, উনাকে অভিনন্দন।
মনে হচ্ছে, নিজের টাকায় অনেকে ম্যাঁপ্যাঁও বই ছাপাচ্ছেন? বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৯১টি, যা গতবারের চেয়ে ৯৪৫টি বই বেশি, গত বছর বই প্রকাশিত হয়েছিল ৩ হাজার ৬৪৬টি।
ভালো খবর, দেশে কবি বাড়ছে, নতুন বইয়ের মধ্যে কবিতার বইয়ের সংখ্যা বেশি, ১ হাজার ৪৭২টি। কবিতার পরেই আছে গল্প ও উপন্যাসের বই: গল্পের বই ৭০১টি এবং উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে ৬৪৩টি।
প্রবন্ধ সংকলন ২৫৭টি, গবেষণার উপর ১২২টি, জীবনীগ্রন্থ ১০৭টি, রচনাবলী ১৫টি, নাটক ২৩টি, ভ্রমণ বিষয়ক ৯১টি, ইতিহাসের ১১০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ৯১টি বই। বিজ্ঞান বিষয়ক ৭৬টি, রাজনীতি-২২টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের উপর ৩৩টি, রম্য ও ধাঁধাঁ-২১টি, ধর্মীয়- ২৬টি এবং ৪৮টি অনুবাদ গন্থ প্রকাশিত হয়েছে। শিশুদের জন্য বই এসেছে ১২৫টি, ছড়ার বই এসেছে ১১২টি; সায়েন্স ফিকশন ও গোয়েন্দা বিষয়ক বই বের হয়েছে ৬৫টি; এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে এসেছে ৪২৪টি বই।
৪ হাজার ৫৯১টি বইয়ের মাঝে যদি মাত্র ৪৮৮টি মানসম্মত বই হয়ে থাকে, ভাবার দরকার কে কি লিখছেন, ও কিভাবে এইসব নতুন বই প্রকাশিত হচ্ছে? পাঠকেরা প্রায় ৮০ কোটী ব্যয় করেছেন বই মেলায়; ৮০ কোটীর মাঝে বেশীর টাকা কি তা'হলে ব্যয় হয়েছে নীচু মানের বইয়ের পেছনে?
বাংলা একাডেমির একটি কমিটি নাকি নতুন বইয়ের স্টলে আসা বইগুলো পরীক্ষা করে মান নিরূপনের চেষ্টা করেছেন, তারাই সংখ্যাগুলো দিয়েছেন।
প্রতি শ'তে যদি ৯০টা বই নীচু মানের হয়ে থাকে, জাতি কি পড়ছে? জাতির পড়ালেখায় গন্ডগোল, পড়ালেখার ফি আকাশ পরিমাণ, পরীক্ষায় প্রশ্ন-ফাঁস, বই কিনে পড়তে গেলে ৯০ ভাগ গার্বেজ; দেশে চাকুরী নেই, ভোট দেয়া লাগে না, মানুষ নিজের এমপি'কে চিনে না, এবার বই কিনতে গিয়ে গার্বেজ কিনছেন? প্রশ্ন-ফাঁস জেনারেশন কি বই লিখছে?
*** বিডি নিউজ-২৪ এ এই ব্যাপারে পড়েছি ****
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩৪