বাংলাদেশের অর্থনীতির স্নায়ুকেন্দ্র, স্টক-এক্সচেন্জে কেন চীনের মত ভেজাল ও জালিয়াত, কিংবা ভারতের মতো চাণক্য প্রবেশ করবে? পারলে, স্টক এক্সচেন্জ চালাও, না হয়, কোম্পানীগুলো সরকারী আইনের অধীনে নিজেদের কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে নিজেদের শেয়ার বাজারজাত করুক , স্টক-স্টক-এক্সচেন্জ বন্ধ করে দাও। দেশের অর্থনীতিতে চোর ডাকাতদের প্রভাব বেশী, তারা স্টক-এক্সচেন্জকে নিজেদের কন্ট্রোলে রেখেছে; কারণ, দেশে তেমন দক্ষ লোকজন নেই; সেই অবস্হায়, লন্ডন ও হংকং থেকে ২/৪ জন দক্ষ লোক আনলে সব ঠিক হয়ে যাবে; কিন্তু অন্য জাতির সাথে "জয়েন বেন্চার" করা অবশ্যই ভুল। যেখানে নিজের দেশের অর্থনীতি নিজের হাতে রাখতে হয়, সেখানে সেটা বিদেশীদের হাতে কেন দেয়া হচ্ছে? পুরো জাতি বেকুব নাকি?
বর্তমান বিশ্বে, যেইলোক স্টক-এক্সচেন্জ ও স্টক-মার্কেট বুঝে না, সে অর্থ-মন্ত্রনালয়ে কেরাণীর চাকুরীও পাওয়ার কথা নয়; মুহিত স্টক-এক্সচেন্জ বুঝে না, সে অর্থমন্ত্রী; হবু রাজ্যে লিলিপুটিয়ান মন্ত্রী!
বাংলাদেশে স্টক-এক্সচেন্জ চালু করার পর, সিকিউরিটি এক্সচেন্জ কমিশন'এর মেম্বাররা সবাই ব্রোকারেজের মালিক হয়েছিল, এটা হলো ডাকাতী। নিশ্চয় এতদিনে উহার সমাধান হয়েছে। এসব কমিশনারেরা নিজেদের ব্রোকেরেজে "প্যান্টম একাউন্ট" খুলে, নিজেদের মাঝে বেচাকেনা করে শেয়ারকে "চার্ণিং" করে, দাম বাড়ায়েছে, কমায়েছে; এদের ২/৪ জনের ফাঁসীর দরকার ছিলো; তা'হলে, সালমান রহমান, বাদলরা ২০ লাখ পরিবারকে পথে বসাতে পারতো না।
বাংলাদেশের মুল সমস্যা থেকে যাচ্ছে, "কোম্পানী মুলধন বাড়ানোর জন্য আইপিও বাজারে ছাড়ে", এই নীতি অনুসরণ করছে না; তারা আইপিও থেকে অর্জিত টাকা অন্যত্র সরায়ে নিচ্ছে, সম্পুর্ণভাবে অন্য ব্যবসায় খাটাচ্ছে, বা পকেটে ঢুকাচ্ছে; কিন্ত নীতি হলো,আইপিও'র টাকা শুধু মাত্র একই ব্যবসায় প্রয়োগ করা হবে।
বাংলাদেশের অপর বড় সমস্যা হচ্ছে, পাবলিক কোম্পানীর ব্যবসার স্বাস্হ্য সঠিভাবে নিরুপণ করে, তাদের শেয়ারের সঠিক মুল্যায়ন করার মতো ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংক নেই।
শুরুতে সব থাকে না, আস্তে আস্তে হয়; দক্ষতা বাড়তে সময় লাগে, ডাকাত বাড়তে সময় লাগে না; বাংলাদেশে ডাকাতী করে কমিশনের ভেতরের লোকজন।
স্টক-এক্সচেন্জ'এর জন্য ২/৪ জন বিদেশী দক্ষ লোক নেয়া হোক, স্টক-এক্সচেন্জ যেন চোরা চীনা, কিংবা ধুর্ত ভারতের হাতে না হয়; যদি চালাতে না পারো, স্টক-এক্সচেন্জ বন্ধ রাখ, একদিন দক্ষ বাংগালীর উদ্ভব ঘটবে, তারা চালাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯