রোহিংগারা গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেছে; মনে হয়, এখানেই এই জাতির শেষ; কারণ, বিশ্বে অস্ত্র হাতে নেয়ার জন্য খুবই খারাপ সময় এখন; আগে যেসব জনগোষ্ঠী স্বাধীনতাকামী মানুষদের পক্ষে কথা বলতো, এখন তারা সবাই ভীত; বিশেষ করে মুসলমানদের ব্যাপারে। এই মহুর্তে, বার্মার মুল পার্টনার হচ্ছে চীন; চীন নিজেই উ: পশ্চিম এলাকায় মুসলমানদের বিপক্ষে অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে মুসলমানদের পক্ষে ২/১ টা বাক্য হয়তো ইউরোপ থেকে আসার কথা ছিল, কিন্তু সেটা এখন ঘটবে না; ইউরোপ এখন ফিলিস্তিনের পক্ষেও কথা বলছে না।
রোহিংগারা অস্ত্র পাবে শুধু মাত্র পাকিস্তান ও ফিলিপাইন থেকে; ফিলিপাইনের মুসলিমদের পুরোপুরি জংগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ফিলিপাইন ও আমেরিকা; আর পাকিস্তানের জংগী গ্রুপদের বিরুদ্ধে ভারত ও আমেরিকা কথা বলছে দীর্ঘদিন; ফলে, রোহিংগাদের জংগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
বাংলাদেশ অবশ্যই এই গেরিলা যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলবে; কারণ, বাংলাদেশে সরকার সমানভাবে ভারত, চীন ও আমেরিকার উপর নির্ভরশীল।
এবারের দাংগা এই গেরিলাযুদ্ধের কারণেই শুরু হয়েছে; গত সপ্তাহে রোহিংগা গেরিলারা ৩০টি পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালায়, এতে যদিও রোহিংগাদের পক্ষেই বেশী হতাহত হয়েছে, তারপরও বার্মা পুলিশের ১২ জন নিহত হয়েছে।
রোহিংগাদের সমস্যা ২ দিক থেকে, সরকার ও স্হানীয় বুদ্ধরা; স্হানীয়দের সাপোর্ট না পেলে, কেহ গেরিলা যুদ্ধ করতে পারে না। আরাকানের বেলায় স্হানীয় বুদ্ধরা সরকারী পুলিশ ও সৈন্যদের চেয়ে বেশী ভয়ংকর। এখন সরকার স্হানীয় বুদ্ধদের অস্ত্র দেবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বার্মিজরা ভয়ংকর নিষ্ঠুর, এরা মানুষকে প্রথমে মেরে ফেলে, অন্য কথা পরে।
রোহিংগারা যদি বিশ্বাস করে যে, তারা বিশ্বের দৃস্টি আকর্ষণ করতে পারবে, সেটি না ঘটার সম্ভাবনাই বেশী; কারণ, অস্ত্র হাতে কাউকে বিশ্ব এখন সহ্য করার মতো অবস্হানে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৯