উ: কোরিয়ান সময় সকাল সাড়ে ৫টার দিকে, উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে, যা জাপানের উত্তরাংশের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে; মিসাইলটি ২৭০০ কিলোমিটার যেতে সক্ষম হয়েছে; জাপানে আতংকের সৃস্টি হয়েছে; জাপানী প্রাইম মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ৪০ মিনিট কথা বলেছে; আজকে জাতি সংঘের জরুরী মিটিং হবে।
আমেরিকা প্রস্তুত, কিন্তু যুদ্ধ আসন্ন নয়।
আমেরিকা টেক্সাস ও লুজিয়ানার বন্যা নিয়ে ব্যস্ত, গত ৩ দিনে টেক্সাসের ৫ মিলিয়ন মানুষ পুরোপুরি পানিবন্দী, হিউস্টন শহর ও আশপাশ ডুবে আছে; আগামী ২ দিনে টেক্সাস ও লুজিয়ানা মিলে ১৫ মিলিয়ন মানুষ পানিবন্দী হবে; আজকে ট্রাম্প টেক্সাস যাচ্ছে; খুবই খারাপ সময়ে উ: কোরিয়া ব্যালাস্টিক মিসাইল টেস্ট করেছে জাপানের উপর দিয়ে; মানুষের মেজাজ খুবই খারাপ; ট্রাম্প যদি এই সময়ে উ: কোরিয়া আক্রমণ করে, মানুষের পুরোপুরি সাপোর্ট পাবে; এটা বিশ্বের জন্য ভয়ানক পরিস্হিতি।
শুধু কোরিয়া আক্রমণই যদি শেষ যুদ্ধ হতো, আমেরিকা অপেক্ষা করে বসে থাকতো না; এই যুদ্ধে রাশিয়া ও চীন ভুমিকা কি হবে, তারা কি করতে পারে, তাদের কি পরিকল্পনা সেটা নিয়ে আমেরিকা ভাবছে; আমেরিকাকে নিজের মানুষ ও বিশ্ব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। যুদ্ধ যদি শুধু মাত্র উ: কোরিয়ার সাথে হয়, তাতেই দ: কোরিয়া ও জাপানও ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে; এতেই পৃথিবীর চেহারা বদলে যাবে; শুধু জাপান একা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পৃথিবীর বাণিজ্যে ভয়ানক প্রভাব পড়বে।
রাশিয়া বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্যে নেই, এবং সাথে সাথে তারা কারো উপর নির্ভরশীল নয়; এবং কোন জাতির প্রতি তাদের কোন দায়িত্ব নেই; সোস্যালিস্ট যুগে তারা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু হিসেবে গণ্য করতো; সেই হিসেবে আজও জাপানের এবং দ: কোরিয়ার ক্ষতি কামনা করে আসছে। এদিকে চীন, জাপান ও কোরিয়ার মাঝে জাতিগতভাবে প্রতিযোগীতা আছে; চীনের মানুষ জাপান ও কোরিয়ানদের থেকে নীচু স্তরের মানুষ হিসেবে সেই এলাকায় গণ্য হয়; তারা সোস্যালিজমের সময় থেকে প্রতিযোগীতায় আছে; তারা মানসিকভাবে চায় যে, জাপান ও কোরিয়ার পতন হোক।
যুদ্ধে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ, গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ হবে দীর্ঘদিনের জন্য, এবং খাবার ও তেল কিনতে পারবে না; বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে জরুরী ভিত্তিতে খাবার, তেল ও কলকারখানার খুচরা যন্ত্রপাতি গুদামজাত করা; সাথে সাথে মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলায়ে প্রতি বেলায় খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ কমানো খুবই দরকারী। সরকারের যে অবস্হা, আনবিক বোমা থেকে রক্ষার জন্য আশ্রয় তৈরি করা সম্ভব হবে না; তবে, জাতির পক্ষে যতটুকু সম্ভব নিজেদের রক্ষার জন্য যায়গা প্রস্তত করতে উপদেশ দেয়ার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩