ভাষা ও সংস্কৃতির দিকে থেকে ওরা মনে করে যে, বাংলাদেশে আসার অধিকার ওদের আছে; এবং বিপদের সময় এটাই ন্যুনতম দুরত্বের মাঝে, প্রাণ বাঁচানোর মতো একমাত্র জায়গা!
ওদেরকে যখন মগ-জলদস্যুর বাচ্চারা মারার শুরু করে, এই সম্বলহীন মানুষদের একমাত্র সোজা ও কাছের পথ হলো বাংলাদেশ। এরা দক্ষিণ চট্টগ্রামী ভাষা ব্যতিত অন্য কোন ভাষা জানে না; সেইজন্য এখন অন্য কোন দেশে যাবার কথা ওদের মাথায় তেমন আসে না। মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের যাবার মতো লন্চ, জাহাজও ওদের আওতায় নেই; হত্যাকান্ড শুরু হলে, তারা বাস, ট্রেনে করে কোথা্য়ও যেতে পারে না, মগদের সেনাবাহিনী, পুলিশ ওদের কোথায়ও যেতে দেয় না; আবার এলাকা ছেড়ে বের হলে মগের বাচ্চারা মেরে ফেলে, ধরে নিয়ে যায়, আটকায়ে ফেলে।
আমি বাংলাদেশ সরকারের রোহিংগা পলিসি নিয়ে কিছু বলবো না; তবে, এরা চট্টগ্রামের লোকদেরই এক বাড়তি গোষ্ঠী; সেই অনুসারে ড: ইউনুসের একটা দায়িত্ব আছে এদের প্রতি। ড: ইউনুস এখনো বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সাথে আলাপ করে দেখতে পারেন, বার্মার ভেতরের ১০/১১ লাখ রোহিংগাদের কোন দেশ নিতে চাহে কিনা! ড: ইউনুস এখন বাংলাদেশের জন্য আর নতুন কিছু করতে পারবেন না, রোহিংগাদের জন্য চেস্টা করা উনার উচিত!
রোহিংগারা বাংলাদেশে আসতে মোটেই আগ্রহী নয়, তারা আসলে মালয়েশিয়া যেতে চায়, জাাপান, ইন্দোনেশিয়া যেতে চায়, কমপক্ষে থাইল্যান্ড হলেও যেতে যায়; তারা চীন, ভারত ও ফিলিপাইনে যেতে চায় না।
জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদী, সবার মানুষ দরকার; কিন্তু এরা রোহিংগারের নিতে চাহে না, সবার ভেতর ভয়, এরা অপরাধ-প্রবন! মহিলা, বাচ্চা ও বুড়োরা কি অপরাধ-প্রবন? বাংলাদেশ সরকার ওদেরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছে না; এবং বর্তমানে বাংগালী নতুন জেনারেশনও তাদেরকে বাংলাদেশে দেখতে চাহে না।
সম্ভব হলে, বাংলাদেশে না আসাই উত্তম; এখানে স্বয়ং বাংগালীরাই ভয়ংকর অবস্হার মাঝে আছে; এখানে এসে ওরা হতাশ হয়ে যায়, অপরাধের সাথে আরো বেশী করে জড়িয়ে পড়ে; কারণ, ওরা এখানে প্রবেশ করার পর, অপরাধীদের সাথেই তাদের মেলামেশা ঘটে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪