আপনারা সংবাদে দেখেছেন, দিনাজপুরের কোন এক এলাকায়, সোনাভান নামে এক মহিলা ফ্লাশ ফ্লাডের ( দুরবর্তী এলাকার এলাকার পানি হঠাৎ এলাকায় স্রোতাকারে প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি) শুরুতে ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে এক মাদ্রাসায় যান; সেখানে স্হান না পেয়ে, কিংবা স্বেচ্ছায় আবার ঘরে ফেরার সময় স্রোতের টানে ৪ বাচ্চাকে হারিয়ে ফেলেন; "আশেপাশের মানুষ সোনাভানকে রক্ষা করেন"।
দেখা যাচ্ছে যে, ৪ ছেলেেমেয়েকে নিয়ে সোনাভান যখন বাঁচার চেস্টা করছিলেন, সাথে কোন পুরুষ ছিলো না; একজন মহিলা একা যখন ৪ ছেলেমেয়ে নিয়ে বাঁচার চেস্টা করছিলেন, তাঁর এলাকার অন্য পুরুষেরা তাঁকে কোনভাবে সাহায্য করেনি; তিনি বলেছেন যে, মাদ্রাসার দারোয়ান তাঁকে ওখানে থাকতে দেননি; দারোয়ান নাকি সুপারিনটেনডেন্টকে ফোন করেছিলেন, সুপারিনটেনডেন্ট অনুমতি দেননি।
সোনাভানের এলাকার কোন পুরুষ সোনাভানকে ৪ ছেলেমেয়েসহ সাহায্য করেনি; সেই এলাকার তরুণ, যুবকরা মানসিকভাবে সেই লেভেলে নেই। কিন্ত সরকার কি সোনাভানের ছেলেমেয়েদের রক্ষা করতে পারতো?
পারতো; সরকার ৩ দিন আগে জেনেছে যে, ভারতীয় এলাকা থেকে ফ্লাশ ফ্লাডের পানি আসবে, কিংবা সম্ভানবনা আছে; সরকার টেলিভিশনে ঘোষনা দিতে পারতো যে, "যাদের পাকা বাড়ী আছে, উপরের তলায়, ও ছাদে আশপাশের পরিবারগুলোর বাচ্চা ও মহিলাদের, বা পরিবারকে আশ্রয় দিতে বাধ্য থাকবে, সরকার প্রতি পরিবারকে থাকতে দেয়ার জন্য সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা করে দেবেন"। এবং "এলাকার তরুণ ও যুবকেরা নিজ পরিববারকে রক্ষা করার পর, অন্য পরিবারেকে সাহায্য করতেই হবে, বন্যা চলাকালীন সাহায্যকারীদের দৈনিক ১০০০ টাকা করে বে্তন দেয়া হবে; স্হানীয় টিএনও, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্কুলের শিক্ষকেরা এসব মানুষের সাহায্যের কাজ পরিদর্শন করবেন, লিস্ট করবেন; যারা সাহায্যে অংশ নেবেন, তারা কাজের পর, স্হানীয় মেম্বার, স্কুল শিক্ষক, টিএনও অফিসের লোকজনের কাছে রিপোর্ট করবেন।"
এই পদক্ষেপ নিলে, সরকারের আনুমানিক ১০ কোটী টাকা খরচ হতো দিনাজপুর এলাকায়; মানুষের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কমে আসতো; পশু, খাদ্য শস্য ও মুল্যবান মালামাল নিয়ে ১০০ কোটী টাকার বেশী সম্পদ রক্ষা পেতো!
*********** ব্লগের বিরহী কবি, নাইম জাহাংগীর নয়ন'কে দেখছি না কিছুদিন ব্লগে **************
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭