গুয়ামের মানুষকে মানসিকভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে আমেরিকা আজকে; ট্রাম্প সেখানকার গভর্ণরের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছে; সেখানকার লোকেল পত্রিকায় সাধারণ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে; এতে কিন্তু একটা গোপন বিষয় বেরিয়ে এসেছে, সেখানকার মানুষের জন্য এটমিক শেলটার নেই; পত্রিকায় বলা হয়েছে বাড়ীতে অবস্হান করতে, নিজকে লুকিয়ে রাখতে ও নিজকে ঢেকে রাখতে, বিস্ফোরণের ফ্লাশের দিকে না তাকাতে, ২৪ ঘন্টার ভেতর গোসল করে নিতে, গোসলের সময় কনডিশনার ব্যবহার না করতে। এখানে আমেরিকার মানুষ মার খাবে, ক্যাপিটেলিজমের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে; রাশিয়ার ১০০ ভাগ মানুষের জন্য শেলটার আছে; চীনের কি পরিমাণ মানুষের জন্য শেকটার আছে বুঝা মুশকিল, ওরা মানুষের জন্য চিন্তিত নয়, পার্টির লোকদের জন্য ব্যবস্হা আছে। উত্তর কোরিয়ার সেনাদের জন্য ব্যবস্হা আছে।
গুয়ামে এখন দেড় লাখ মানুষ আছে, ৪৫ হাজারের মতো সৈন্য, ৫ হাজারের মতো টুরিস্ট বাকীগুলো সাধারণ মানুষ; কিন্তু এদের জন্য কোন এটমিক শেলটার নেই। আমেরিকা সাধারণ মানুষের জন্য কোন ব্যবস্হা না করেই যুদ্ধের কথা বলছে? গুয়ামের সাধারণ মানুষ এই দ্বীপ ত্যাগ করে কোথায়ও যেতে পারবে না।
চীন চাচ্ছে আমেরিকাকে কমপক্ষে একটা বড় ধরণের হোঁচট খাওয়াতে, রাশিয়াও সেটাতে বিশ্বাস করে; চীন ও রাশিয়াই যুদ্ধটা বেশী চাচ্ছে; ওরাই কিমকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে; ওদের ধারণা, এতে জাপান, দ: কোরিয়া ও আমেরিকা বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে; উত্তর কোরিয়ার মানুষ সম্পুর্ভাবে মুছে গেলেও ওদের কোন দু:খ নেই' ওরা জানে যে, এতে সাধারণ আমেরিকানরাও প্রাণ হারাবে।
আমরিকান এক জেনারেল বলেছে যে, কোরিয়া থেকে গুয়ামে মিসাইল আসতে ১৮ মিনিট সময় লাগবে; তারা মিসাইলকে অনুসরণ করে ধ্বংস করতে সমর্থ হবে; তবে, মিসাইল টেকনোলোজীর এক দক্ষ লোক বললো, এসব মিসাইল সেই দিকে খেয়াল রেখেই তৈরি করা হয়েছে; ফলে, আমেরিকা সব টেকনোলোজী সম্পর্কে জানে বলে ধরে নেয়া ভুল হবে।
আমেরিকা বিশ্বাস করছে যে, আমেরিকা প্রথমে আঘাত করে কোরিয়ার উৎক্ষেপন কেন্দ্র ও আর্টিলারীগুলোকে ধ্বংস করে দেবে; তবে, আমেরিকা চীন ও রাশিয়াকে বিশ্বাস করছে না; আমেরিকা ভাবছে যে, যুদ্ধ লেগে গেলে, চীন ও রাশিয়া আমেরিকান বিরোধী ভুমিকায় নামতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২