আমরিকা গুয়ামের লোকদের মানসিকভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে আজকে; সেখানকার লোকেল পত্রিকায় সাধারণ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে; এতে কিন্তু একটা গোপনীয়তাও বেরিয়ে এসেছে, সেখানকার মানুষের জন্য এটমিক বোমা থেকে লুকায়ে যাবার মতো শেলটার নেই; পত্রিকায় বলা হয়েছে বাড়ীতে অবস্হান করতে, নিজকে লুকিয়ে রাখতে ও নিজকে ঢেকে রাখতে, বিস্ফোরণের ফ্লাশের দিকে না তাকাতে, ২৪ ঘন্টার ভেতর গোসল করে নিতে, গোসলের সময় কনডিশনার ব্যবহার না করতে। এখানে আমেরিকার মানুষ মার খাবে, ক্যাপিটেলিজমের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে; রাশিয়ার ১০০ ভাগ মানুষের জন্য শেলটার আছে; চীনের কি পরিমাণ মানুষের জন্য শেকটার আছে বুঝা মুশকিল, ওরা মানুষের জন্য চিন্তিত নয়, পার্টির লোকদের জন্য ব্যবস্হা আছে। উত্তর কোরিয়ার সেনাদের জন্য ব্যবস্হা আছে।
আমরিকান এক জেনারেল বলেছে যে, কোরিয়া থেকে গুয়ামে মিসাইল আসতে ১৮ মিনিট সময় লাগবে; তারা মিসাইলকে অনুসরণ করে ধ্বংস করতে সমর্থ হবে; তবে, মিসাইল টেকনোলোজীর এক দক্ষ লোক বললো, এসব মিসাইল সেই দিকে খেয়াল রেখেই তৈরি করা হয়েছে; ফলে, আমেরিকা সব টেকনোলোজী সম্পর্কে জানে বলে ধরে নেয়া ভুল হবে।
চীন আজকে একটা বিবৃতি দিয়েছে যে, যারা প্রথম আক্রমণ করবে, চীনারা তাদের পক্ষে থাকবে না; এতে আমেরিকা বুঝতে পেরেছে, চীনারা কোনদিকে আছে, কোথায় থাকবে। চীনারা কখনো চাহে না, ২ কোরিয়া এক হয়ে যাক।
আজকে ট্রাম্প বলছে, কোরিয়ার আক্রমনের জন্য বসে বসে দিন গোণা ঠিক হবে না; কারণ, এতে কোরিয়া বড় ধরণের প্রস্তিত নেয়ার সুযোগ পাবে, এবং তাতে বেশী পরিমাণ আমেরিকান জীবন বিপন্ন হবে। চীনারা এটা অনুমান করতে পেরে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্হান জানিয়েছে; যুদ্ধ না হলেও, আগামীতে চীনের সাথে আমেরিকান সম্পর্ক বদলাবে।
ইউরোপ এখনো এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি; ডেমোক্রেটরা উপরে উপরে কোরিয়ার সাথে আলোচনার কথা বলছে; তবে, তারা ট্রাম্পের বিপক্ষে আপাতত অবস্হান নেয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৫৭