নর্থ কোরিয়ার কিম জং অবশ্যই ভাবনা-চিন্তাহীন, কমনসেন্সহীন মানুষ; এই দানবটি পারিবারিকভাবে একটি দেশের মালিক হয়েছে; নর্থ কোরিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে যে, আমেরিকা ১৯৫১ সালের মতো আবার যুদ্ধ লাগাবে, ফিরে আসবে, এবং উত্তর কোরিয়ার মানুষকে হত্যা করবে। এই বিশ্বাসটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে কিমের দাদা বুড়ো কিম, রাশিয়া ও চীন। রাশিয়া ও চীন বিশ্বাস করে যে, তারা যদি সঠিভাবে খেলতে পারে, আমেরিকা পারমানবিক যুদ্ধে জড়ায়ে যেতে পারে কোন এক সময়ে; একবার জড়ালে, তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। রাশিয়া সোস্যালিস্ট দেশ থাকাকালীন এই খেলায় মেতেছিল, আজও ছাড়েনি; এবং চীনও সোস্যালিস্ট থাকার সময় রাশিয়ার সাথে মিলে এতে যোগ দিয়েছিল।
গত ২ দিন আগে, কিম কং বলেছে, তার দেশ আমেরিকান দ্বীপ গুয়ামের আশেপাশে ৪টি মিসাইল ফেলবে; কোরিয়া থেকে গুয়ামের দুরত্ব ২২০০ মাইল। গুয়ামে ১ লাখ ৩০ হাজার আমেরিকান আছে; এদের মাঝে ৪৫০০০ হচ্ছে সামরিক লোকজন। প্রত্যুত্তরে ট্রাম্প বলেছে, উত্তর কোরিয়া আগুন ও তাপে গলে যাবে।
আজকে ট্রাম্প আমেরিকান মিলিটারীর সিকিউরিটির লোকজনের সাথে কথা বলার পর, প্রেসের সামনে আসে; সেখানে সে বলে যে, কোরিয়া যদি গুয়ামের আশেপাশে মিসাইল ফেলে, বিশ্ব এমন কিছু দেখবে, যা পুর্বে কখনো দেখেনি।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের অবস্হা যেই পর্যায়ে গেছে, সেও ভাবতে পারে যে, যুদ্ধ হ্য়তো সবকিছুর সমাধান; ভয়ংকর অবস্হা!
এই প্রেস ব্রিফিং'এর আগেই কোরোয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলে যে, যারা কোরিয়া আক্রমনের কথা ভাবছে, তাদের কারো রক্ষা হবে না; আমরা যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করবো। তারা আমেরিকাকে পরাজিত করতে পারবে না, তাদের মানুষ মারা যাবে, এবং বিশ্ব ১০/১৫ বছরের জন্য বিকল হয়ে যাবে।
কোরিয়া এই সপ্তাহে বলেছে, মিসাইলে বহনযোগ্য এটম বোমা তাদের কাছে আছে; এটি আমেরিকার জন্য নতুন সংবাদ; আমেরিকা বিশ্বাস করতো যে, এই ধরণের টেকনোলোজী কোরিয়ার কাছে নেই। আসলে থাকার কথা নয়; মনে হয়, এখানে রাশিয়া ও চীনারা খেলছে, ওরাই এই টেকনোলোজী দিয়েছে।
কিম জংএর মানসিক সমস্যা আছে; মানুষ মেরে ফেলা ওর কাছে ভিডিও গেইম খেলার মতো; হয়তো ওর নিজের মৃত্যুও ওর কাছে কিছু না; এই ধরণের পাগল ছাগল পেয়ে চীনারা ও রাশিয়ানরা খেলার সুযোগ পেয়েছে।
এই মাসের শেষের দিকে, দ: কোরিয়া ও আমেরিকা সামরিক এ্যাক্সারসাইজ করবে কোরিয়ান সাগরে ও স্হলভাগে; এবার এই ব্যাপারটি ভয়ানক পরিস্হিতির সৃস্টি করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৩