বেশীর ভাগ মানুষই ধরে নিয়েছেন যে, আগামী ভোটে শেখ হাসিনা (মানে উনার দল) জয়ী হবেন, যদিও পরিস্কার নয় যে, উনি কি রাজনৈতিক অবদানের জন্য জয়ী হবেন, নাকি কৌশলে জয়ী হবেন! সরকার-প্রধান ও দলের সভাপতি হিসেবে উনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে; একই সময়ে উনার দলের প্রতিটি নেতার জনপ্রিয়তা কমেছে; উনার দলের যে কোন নেতা "স্বতন্ত্র প্রার্থী" হলে পরাজিত হবেন, মনে হয়; কারণ, তাদের কারো কোন অবদান মানুষের চোখে পড়েনি; বরং তাদের জন-বিরোধী কার্যকলাপ সহজেই অনুমান করা সম্ভব; পার্লামেন্টের কোন সদস্য জনগণের হয়ে কোন আইন পাশ করাতে পারেননি; এমন কি, একজন এমপিও নিজ এলাকার মানুষের প্রতিনিধি দাবী করে নিজের পরিচয় দেননি পার্লামেন্টে; বলেনি, "আমার এলাকার লোকজন, তাঁদের ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার উন্নয়নের জন্য আমাকে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছেন"।
উনার দলের নেতাদের কারো জনপ্রিয়তা না বাড়লে, তারা কি করে দলের হয়ে জয়ী হবেন? তারা জয়ী হবেন শেখ হাসিনার কলাগাছ হিসেবে। ওবায়দুল কাদেরের কথাবার্তায়, মনে হচ্ছে, কলাগাছের জয়ী হওয়াও কঠিন হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা নীচের উপায় অবলম্বন করে নিজকে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন; এ ধরণের কিছু করতে হলে, সংবিধানে যোগ করতে হবে:
তিনি আগামী ভোটকে ৩ ধাপে করতে পারেন: প্রথমে ধাপে, ১০০ সীটে ভোট করা, যেখানে উনার সবচেয়ে ভালো কলাগাছগুলো থাকবে; এই ১০০ সীটে কোনরূপ কলা-কৌশল না করে ভোট করলে, যদি ৭০/৮০ সীট উনি পেয়ে যান; বাকীগুলোতে তিনি জয়ী হয়ে যাবেন সহজেই। এখানে যদি তিনি ৬০ সীটের নীচে পান, উনর জয়ী না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে; যদি ৫০ সীটের নীচে পান, উনি পরাজিত হবেন; তখন উনাকে আরো ভালো জাতের কলাগাছ ও সার ব্যবহার করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১১