সরকার যখন তার সব নাগরিকের ভার নিচ্ছে না, তখন সামর্থবান নাগরিকেরা ছিটেফোটা ২ পয়সা দিয়ে দরিদ্রদের সাময়িকভাবে ২/৪ দিন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করতে পারে; তবে, এটা সমাধান নয়; লাখে ২/৪ জন ভিক্ষুক হয়তো স্ভাবাবিক জীবনে ফিরে যেতে পেরেছে, বাকীরা ভিক্ষুক হিসেবে জীবন যাপন করেছে।
বাংলাদেশে দারিদ্রতা রয়ে গেছে সরকারগুলোর সম্পদ লুন্ঠন ও অসম বন্টনের কারণে; ৪৬ বছর বয়সী কোন বাংগালী অশিক্ষিত, দক্ষতাহীন ও বেকার থাকার কথা নয়। বেগম জিয়ার ২ ছেলে, ২ ভাই, ১ বোন ধনী হতে গিয়ে লাখ লাখ মানুষকে দরিদ্র করে ছেড়েছে। বসুন্ধরা হাজার হাজর মানুষকে ভুমিহীন করে আমেরিকান ডলারে বিলিওনিয়ার হয়েছে। আফতাব নগরে হাজার পরিবারের জমি কেড়ে নিয়ে জহুরুল ইসলামরা বিলিওনিয়ার হয়েছে। আলম ব্রাদার্স ও মাওলানা ব্রাদার্স চট্টগ্রামের বিশাল পরিমাণ ভুমি কিনে নিয়েছে ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে; ব্যাংক একজন সাধারণ মানুষকে ভুমি কিনতে টাকা ঋণ দেয় না।
বেগম জিয়ার পরিবার, বসুন্ধরা, আফতাব গোস্ঠী, আলম ব্রাদার্সের দান খয়রাতের ফলে, ক্ষতিগ্রস্তদের কয়জন লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা? আসলে কোন সম্ভাবনা নেই।
দান খয়রাত আসলে কোন রকম পরিকল্পিত ফাইন্যানসিয়াল ব্যবস্হা নয়; এগুলো মানুষের সামান্য বদান্যতা মাত্র, যা আধুনিক ফাইন্যানসিয়াল সিস্টেমে কোনভাবে সমাজের উপর প্রভাব ফেলবে না। মানুষকে দান খয়রাত করার জন্য উৎসাহিত করে কোন লাভ নেই; দরকার পরিকল্পিত উপায়ে, নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে প্রতিস্ঠিত করে, দারিদ্রতার বিমোচন ঘটানো।
দান খয়রাত ছিলো, এখনো আছে; খারাপ সরকার ও অসম বন্টন ব্যবস্হা থাকলে, দান খয়রাত আজীবন থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৩