'ইসলামের পুনর্জাগরণ' শব্দটা কেন মিশর, ইরান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, আফগানিস্তানে ব্যবহৃত হচ্ছে, এগুলো তো মুসলিম প্রধান দেশ, ওখানে ইসলাম কি ঘুমিয়ে গেছে? পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানে মক্তব-মাদ্রাসার সংখ্যা বেশী, নাকি স্কুল কলেজের সংখ্যা বেশী? মানুষের ধর্মীয় জ্ঞান বাড়ছে, নাকি কমছে; মানুষ ধর্মীয় গ্রন্হ পড়ার সুযোগ কি কম পাচ্ছেন, নাকি আগের থেকে অনেক বেশী পাচ্ছেন? এসব দেশে ইসলামিক দলগুলোতে মানুষ কমছে, নাকি বাড়ছে?
'ইসলামের পুনর্জাগরণ' বলতে আসলে বুঝানো হচ্ছে রাস্ট্র পরিচালনায় ইসলাম, ইসলামিক শাসন প্রবর্তন, খিলাফতের প্রত্যাবর্তন। ইসলামিক শাসন ছিল ৪ খলীফার সময়ে, প্রথম ইসলামিক রাস্ট্রে। খলিফা(?) মুয়াবিয়ার সময়, ইসলামিক রাস্ট্র ততকালীন রাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে; মুয়াবিয়া ব্যক্তিগত জীবনে অন্য খলিফাদের মতো ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু উনার রাস্ট্রীয় ব্যবস্হা খিলাফত থেকে চুল পরিমাণ সরে গিয়েছিল; সেটা ছিল শুরু; আজকের পাকিস্তান (ইসলামিক প্রজাতন্ত্র), মিশর, জর্ডান মুসলিম প্রধান দেশ; মুসলিম দেশগুলোর রাস্ট্রীয় ব্যবস্হায় খিলাফতের কোন কিছু নেই; কিন্তু সকল মুসলিম ট্রেডিশন ঠিক মতো আছে। তুরস্কেও অনেক মানুষ এখন কমপক্ষে অটোম্যানদের মতো খিলাফত চায়। মিশরে অনেক মানুষ বর্তমানের ট্রেডিশনাল মুসলিম দেশ থেকে খিলাফতে ফিরতে চায়।
খিলাফতে ফিরে যাওয়াকেই 'ইসলামের পুনর্জাগরণ' বলা হচ্ছে। মুসলিম দেশগুলো এখন সঠিক কোন তত্ব অনুসরণ করছে না; তবে, তারা অশুদ্ধ গণতন্ত্রের অধীনে জোড়াতালি দেয়া দুর্নীতি-পরায়ন ক্যাপিটেলিজম চালাচ্ছে। এই অবস্হা থেকে তাদেরকে কোন একদিকে সরতে হবে: হয়তো গণতন্ত্রের দিকে, না হয়, খিলাফতের দিকে। সঠিক গণতন্ত্র ও সহনীয় ক্যাপিটেলিজম এসে গেলেও দেশগুলো স্হিতিশীল হয়ে উঠতো, এখন অনেকটা অস্হিতিশীল; এই অস্হিতিশীলতা থেকে এসব দেশ কি খিলাফতে গিয়ে স্হিতিশীল হবে, নাকি গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদে গিয়ে স্হিতিশীল হবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২