আমাদের শুভেচ্ছা রলো সিদ্দিকুরের জন্য; ভারতে উনার চিকিৎসা সফল হোক, সিদ্দিকুরের দৃস্টিশক্তি ফিরে আসুক, এই আশাবাদ করছি আমরা! সিদ্দিকুরকে ভারতে নেয়া হয়েছে; জনগণ তার খরচ বহন করছে; শুনে ভালো লাগলো যে, উনি পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র; মনে হয়, রাস্তায় প্রেকটিক্যাল ক্লাশ করার চেস্টা করছিলেন তিনি।
সিদ্দিকুর পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র হয়েও বুঝতে পারেননি যে, জাতি উনার খরচ বহন করছেন; সংবাদপত্রে যতটুকু দেখেছি, উনি জাতিকে এজন্য কোনভাবে ধন্যবাদ দেননি; উনি মনে করেছেন, টাকাটা প্রাইম মিনিস্টারের পকেট থেকে দিচ্ছেন; তাই তিনি ভারত থেকে এসে প্রাইম মিনিস্টারের সাথে দেখা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন! এটা যদি পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্রের অবস্হা হয়ে থাকে, শামীম ওসমানের অবস্হা কি?
উনি পলিটিক্যাল সায়েন্সে এ যাবত কত সেমিস্টার শেষ করেছেন কে জানে! তবে, দেশের সামগ্রীক অবস্হা উনি বুঝেন বলে মনে হয় না; আগামীতে ভোট, তাই সরকার নিজের ইমেজ ধরে রাখার জন্য সিদ্দিকুরকে ভারত পাঠাচ্ছে মানুষের টাকায়; সামনে ভোট না থাকলে, সিদ্দিকুরের চিকিৎসা পংগু হাসপাতালেই শেষ হতো।
শেখ হাসিনা মানুষের টাকায় উনাকে ভারত পাঠায়েছে ভালো হলো; সিদ্দিকুরের সাথে চক্ষুমিয়া হাসপাতালের বড় ডাক্তার, এসিসট্যান্ট ডিরেকটরও যাচ্ছে ভারতে; ভালো হলো বউ'এর জন্য জামদানী শাড়ী কেনার সুযোগ পাবেন। কিন্তু শেখ হাসিনা চক্ষুমিয়া হাসপাতেলের ডাক্তারদের প্রশ্ন করেনি, ৪৬ বছরে বাংলাদেশের ডাক্তারেরা ভারতের ডাক্তারদের সমান কিছু শিখতে পারলেন না কেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০