খাদাভ্যাসের জন্য প্রাণ হারানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়; ভারতীয় মুসলমানদের উচিত পুরো জাতির খাদ্যাভ্যাসের সাথে নিজেদের মিলিয়ে নেয়া; ভারতে প্রোটিনের অভাব নেই; কারণ, বিশাল সংখ্যক ভারতীয়রা ভেজেটারিয়ান; তদুপরি, ভারত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে ভেঁড়ার মাংস আমদানী করে।
যে কোন সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ডে বেশীর ভাগ ভিকটিম হয় দরিদ্ররা ও হত্যাকান্ড চালায় দরিদ্ররা; ভারতে ২০ কোটীর বেশী মুসলমান আছে; ৪০ কোটীর মতো দরিদ্র আছে; এতে বুঝা যাচ্ছে যে, ১ জন দরিদ্র মুসলমানকে হত্যা করার জন্য ৩ জনের বেশী দরিদ্র হিন্দু আছে; তদুপরি, দরিদ্র রাজনৈতিক ক্যাডারেরা হত্যা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রতিষ্ঠা করে; অর্থৎ যোগ বিয়োগ করে হত্যাকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।
গরুর মাংস না খেলে, মুসলমানদের স্বাস্হ্য ভালো হয়ে যাবে, এবং তারা অকারণে ভিকটিমও হবে না; তবে, সামান্য পরিমাণ মুসলমান ব্যবসার দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে: চামড়া ও মাংসের ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সংখ্যালঘু হিসেবে তারা পরস্পরকে সাহায্য করে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে পারবে।
সমাজের দরিদ্র মানুষেরা নিশ্চয়ই সমাজের অশিক্ষিত ও পেছনে-পড়া অংশ; তারা নিজেদের দারিদ্রতা ইত্যাদির জন্য হতাশা ব্যক্ত করে সহজ ভিকটিমের উপর; ৪০ কোটী দরিদ্র হিন্দুদের জন্য সহজ ভিকটিম হচ্ছে দরিদ্র মুসলমান ও দরিদ্র খৃস্টানরা। ভারতে গোমাংসের জন্য খৃস্টানদের উপর আক্রমণ হচ্ছে না; কারণ, তারা সহজে তাল মিলাতে জানে; তারা জানে বিজেপি মিজেপি'র হাতে প্রাণ হারানো সঠিক হবে না, ভারতে খাদ্যাভাব নেই, দরকার খাদ্যাভ্যাস বদলানো।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২