এ বছরের জুন অবধি, সরকারী ব্যাংকগুলোর বড় বড় ঋণ একাউন্টস'এর ১০০ জন খেলাপীর তালিকা সংসদে এসেছে; একজন সাংসদ সেটা প্রকাশের দাবী করায়, মন্ত্রী মুহিত সাহেব সেটা প্রকাশ করেছেন; এই ১০০ একাউন্টে ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১২ হাজার কোটীর মতো, ১৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার; আমাদের এবারের বাজেট হয়তো ৪০ বিলিয়নের সমান (থিওরিটিক্যালী ৫০ বিলিয়ন ডলার)।
সাংসদটিকে ধন্যবাদ; মনে হয়, উনি আওয়ামী লীগার নন; আর যদি আও্য়ামী লীগার হয়, আগামীবার হয়তো নমিনেশন পাবার সম্ভাবনা কম।
১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংগুলো ঋণ খেলাপিদের কারণে বারবার মুলধন হারায়েছে; সরকার বাজেটের টাকা থেকে আবার মুলধন দিয়ে আসছে; একই প্যাটার্ণ বারবার দেখছে এই ব্যাংকগুলো; কিন্তু সমাধান বের করতে পারেনি? আসলে, এই ব্যাংগুলোর লোকেরা এই ব্যবসাই করে আসছে; এগুলো থামানোর দায়িত্ব ছিল শাহ কিবরিয়া, সাইফুর রহমান, ও মাল মুহিতদের; এরা থামাতে পারেনি।
আপনারা দেখছেন, বাংলাদেশ বিমান কি করে ক্ষতি দিয়ে আসছে গত ৪৬ বছর; একই প্যাটার্ণ। প্রশ্ন ফাঁস হয়ে আসছে গত ৫/৬ বছর, একই প্যাটার্ণ। প্যাটার্ণ বুঝতে পারলে, তার সমাধান একজন পিগমীও বের করতে পারেন।
মুহিত যদি এগুলো না থামাতে পারে, ২০১০ সালের পর কেন তাকে সেখানে রাখা হয়েছে? মেনন যদি বিমানের অবস্হা বদলাতে না পারে, নাহিদ যদি সামান্য প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ না করতে পারে, তাদের কেন রাখা হয়েছে? মানুষ যখন চাঁদে গিয়েছে, এসব গুহা মানবেরা কি করে বাংলাদেশ সরকারে টিকে আছে?
প্রাইম মিনিস্টার হলো সব মিনিস্টারের কন্ট্রোলার; এগুলোর সমাধান যখন মিনিস্টারেরা করতে পারছে না, সেখানে বুদ্ধিমান লোকের নিয়োগ দেয়ার দরকার ছিলো; বাংগালীদের মাঝে বুদ্ধিমানের অভাব হলে বিদেশী লোক আনা সম্ভব! ১৪ বিলিয়ন রক্ষার জন্য ১৪ মিলিয়ন খরচ করলে ১৪ জন বুদ্ধিমান বিদেশী ফাইন্যানসিয়াল গুরু নেয়া যায়! প্রাইম মিনিস্টারের বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪