মোগল সম্রাট আওরংগজেব এক ভাইকে হত্যা করে, এবং বাবাকে বন্দী করে নিজের ক্ষমতাকে পোক্ত করেছিল; এই অবস্হা দেখে বাকী ভাইয়েরা রাজনীতি ফেলে প্রাণ নিয়ে পালায়েছিল; এতে আওরংগজেবের ক্ষমতা সুরক্ষিত হয়েছিল; কিন্তু এখানেই মোগল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়েছিল; সম্রাটের ভয়ে কেহ রাজনীতি করার কথা ভাবতেও পারতো না; ইংরেজরা মোগলদের শেষ সম্রাটকে বার্মায় খুবই দরিদ্র ও অপমানকর জীবন যাপন করতে বাধ্য করে।
ছাত্র রাজনীতিবিদদের ছাত্র রাজনীতির ফসল হলো, আমাদের ছাত্র-দেশ, বাংলাদেশ; আমাদের দেশটা পুর্নাংগ দেশ নয়, ইহা ছাত্র-দেশ, ছাত্র রাজনীতিবিদরাই চালায়; আমাদের এলাকার ছাত্ররা ইউরোপ, আমেরিকার ছাত্রদের মত মহৎ নন, এরা যেই সমাজিক পরিবেশে বড় হয়ে থাকেন, সেখানে প্রতিযোগীতা, চল-চাতুরী, হিংসা, অপরাধ ইত্যাদি বিরাজ করে আসছে দীর্ঘ সময়; তারা এগুলোর ফসল, এবং তাদের ভাবনা অনুসরণ করে চলছে আমাদের দেশ।
বাংলাদেশ হওয়ার পর, রাজনীতির প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছিল; কিন্তু শেখ সাহেবকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর, রাজনীতির মাঠ ফাঁকা হয়ে যায়; এরপর, শেখ সাহেবের ৪ অনুসারীকে হত্যার পর, দীর্ঘ দিনের দল আওয়ামী লীগ মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়; জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর মানুষ বুঝতে পারে যে, এ দেশে রাজনীতি করলে প্রাণ নিয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হতে পারে। অবশ্য জিয়া যেই পথ দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, সেই পথ দিয়েই চলে গেছেন। এখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার প্রচেস্টা অব্যাহত আছে; তিনি বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন; এটা এখন দেশ নয়, মগের মুল্লুক; রাজনীতি বিদায় নিয়েছে দেশ হতে!
এরশাদ, চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী, ফরহাদ মাজ হার, ড: হাছান মাহমুদ, শামীম ওসমান, শেফিক রহমানদের মতো লোকজন রাজনীতিতে আসার কথা ছিলো না; যাদের আসার কথা, তারা ১৯৭৫ ও ১৯৮১ সালের হত্যাকান্ড, ১৯৮২ সালের সামরিক ক্যু, ২০০৪ সালের গ্রেনেড আক্রমণ দেখে রাজনীতি থেকে দুরে সরে গেছে, যা রাজনীর মাঠে শুন্যতার সৃষ্টি করেছে; শুন্য স্হান পেয়ে সর্বপ্রকার জীবাণু সেখানে বাসা বেঁধে বসেছে।
হত্যা করে ক্ষমতা দখল, ক্যু করে ক্ষমতা দখল, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হ্ত্যার প্রচেস্টা, অপহরণ, ইত্যাদি বাংলাদেশের রাজনীতিকে ইতিমধ্যে কবর দিয়ে দিয়েছে, এবং সামনের দিন গুলোর জন্য মহা শুন্যতার সৃষ্টি করে করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৫