বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০ লাখ কোটীপতি আছে, যারা বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, সোনালী, অগ্রনী, রূপালী, এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেয়নি; অনেকে সেই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য এখনো টাকা নিচ্ছেন ব্যাংক থেকে, এটাকে বলে "লোন রি-ওরগেনাইজ", আগের ঋণ ফেরত দেয়ার জন্য নতুন ঋণ; ফলাফল, আগের আর নতুন সবগুলো পেটে।
অনেক প্রাইভেট ব্যাংক আছে, যারা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকের ডাইরেক্টরদের, তারপর সেই ঋণ একটু উঁচু হারে বিক্রয় করেছে সোনালী, রূপালীদের কাছে; এটা হলো জাতীয় ব্যাংকগুলো আপনাদিগকে লাভের শেয়ার দেয়ার জন্য "ঋণ" ব্যবসা করছেন; ফলাফল, প্রাইভেট ব্যাংকের ঋণের টাকা সোনালী, রূপালীদের ক্ষতি! এগুলো আমাদের এলিট বাংগালীদের আবিস্কার!
এরা মানুষকে যাকাত দেবে? মোল্লা শফি কাকে যাকাত দেয়? বায়তুল মোকাররমের খতিব কাকে যাকাত দেয়? বেগম জিয়া কাউকে যাকাত দেন? ইসলামী ব্যাংক যাকাত দিয়ে আসছিলো বহু বছর, এ বছর আর হয়তো সোজাসুজি দিতে পারবে না; এতদিন কাকে যাকাত দিয়ে আসছিলো?
ব্লগে প্রায় দেখি যাকাতের উপর পোস্ট; গতকাল একজন লিখেছেন, খলীফা ওমরের ( রা: ) সময় (৬৩৪ সাল - ৬৪৪ সাল) মদীনার মানুষ এত ধনী ছিল যে, তিনি যাকাত দেয়ার লোক পাননি; আজকে উনার খিলাফত ঢাকায় থাকলে, ৬/৭ কোটী উনার কাছে যাকাত চাইতো; ৩০ লাখ শিক্ষিত বেকারও উনার দরবারে লাইন ধরতো।
খলীফা ওমরের (রা: ) সময় কি আসলে মদীনার লোকজন এত ধনী ছিলেন? খলীফা আবু বকরের (রা: ) শার্ট ছিলো ১টি; আমাদের নবীও (স: ) খুব ধনী ছিলেন না, যদিও মানুষ উনাকে সাহায্য করেছেন বলে মনে হয়। আসলে মদীনায় তখন কতজন মানুষ বসবাস করতেন? আসলে উনার সময় মদীনায় নারী, শিশু ও খুবই বৃদ্ধ ব্যতিত অন্য কেহ ছিলেন না, বাকীরা যুদ্ধে ছিলেন; ইহুদীরা ছিল না বললেই চলে। খলীফা ওমরের (রা: ) সময় যাকাত পেয়ে কেহ বিলিওনিয়ার হয়নি এখনো কেহ হবে না; মানুষের দরকার চাকুরী কিংবা কোন পেশা, যাহা থেকে মানুষ আয় করতে পারে।
সরকারী চাকুরে, পুলিশ, ব্যাংকের লোকজন পুরোপুরি ঘুষের উপর চলে, এমপি মেমপি'রা সরকারী টাকা বাড়ী নিয়ে যায়; ব্যবসায়ীরা ঠকায় ও ভেজাল দেয়, এদের থেকে কেহ যাকাত পাবে? পেলে সেটায় ৫/৬ কোটী চলতে পারবে? যাকাতের টাকা থেকে জংগী ফংগীরা চাগ পাচ্ছে আজকাল; ইহা মানুষের অধিকার নয়, মানুষর জন্য চাকুরী দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২