মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ড: হাছান মাহমুদ কি একটা পোস্টে আছে, হানিফও বড় পোস্টে আছে, শেখ সেলিম কোন পোস্টে আছে ঠিক জানি না, বেগম সাজেদা চৌধূরী অবস্হান কোথায় কে জানে; তবে, এরা সবাই বড় বড় টিম-মেম্বার, আওয়ামী লীগ একটি পরিবার, একটি বড় টিম; এদের সভাপতি হলেন ৩৬ বছরের চলমান সভাপতি শেখ হাসিনা; ইহা অবশ্যই ১৯৪৯ এর ২৩ শে জুনের আওয়ামী লীগের বাচ্চা নয়; এমন কি ইহা ৬ দফার আওয়ামী লীগেরও কেহ হওয়ার কথা নয়; আর বাকশালের সাথে ইহার চেহারার মিল নেই; মনে হয়, ইহার জন্ম হয়তো ১৯৮১ সালে?
১৯৪০ সাল থেকে মানুষ দিন গণনা শুরু করেছিলেন, যেদিন ইংরেজ চলে যাবে, মানুষ ২০০ বছর পর, সুখ শান্তি খুঁজে পাবে; একদিন ভোরে দেশ তাদের হয়ে যাবে: শিক্ষার সুযোগ পাবে, চাকুরীর সুযোগ পাবে, জমির মালিক হবে, ব্যবসা বাণিজ্য করবে, কোন সম্পদ ইংল্যান্ডে যাবে না আর, কোহিনুর ফেরত আসবে, জাতি সুখী হবে। স্বাধীন হলো ৪৭ সালে, কেহ তাদের ডেকে বলেনি যে, এখন তোমরা সবকিছুর মালিক, আস পড়ালেখা কর, আস ইংরেজদের ফেলে যাওয়া যায়গায় চাকুরী কর, ইংরেজদের ফেলে যাওয়া ব্যবসা বাণিজ্যে এখন তোমাদের ব্যবসা বাণিজ্য।
মওলানা ভাসানী বুঝেছিলেন যে, ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা থেকে সবাই লাভবান হতে পারেনি; কিন্ত কিছু লোক বেশী বেশী লাভবান হয়েছে; ইংরেজ চলে গেছে, কিছু লোক ইংরেজের স্হান দখল করেছে, ইংরেজদের সিসটেম রয়ে গেছে; এটা সঠিক সিস্টেম নয়, অন্য সিস্টেমে ভাবতে হবে; সেই ভাবনা থেকে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিলো!
একই পুরাতন ভাসানী দেখেছেন যে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাও বাংলার মানুষের জন্য কিছু করতে পারেনি; শুধু ভাসানী নন, আওয়ামী লীগের সভাপতিও বুঝেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ ভালো করছে না; তাই তিনি উহার নামও বদলায়ে দিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে। যাক, আওয়ামী লীগ শেখ সাহেবের দেয়া নাম মুছে ফেলতে সক্ষম হয়েছে; ফিরে গেছে আসল নামে; কিন্তু উহার ব্যবসা বাণিজ্য ১৯৪৯ সালের আওয়ামী লীগ, বা ১৯৭৫ সালের আওয়ামী লীগের সাথে মিল নেই; এই লীগের ভালো মিল হলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে, ইহা একটি প্রাইভেট কর্পোরেশন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২৫