কারণ, এক সংগে এত সাধারণ মানুষের দুরের গ্রামে যাওয়ার মত নিরাপদ 'ইনফ্রাস্ট্রাকচার' দেশে তৈরি হয়নি; তৈরি হয়েছে ধনীদের বাড়ী যাওয়ার মতো এয়ার লাইনস, হাইওয়ে, দামী লন্চ, ট্রেনে বিসার্ভ। সাধারণ মানুষেরা নিরাপদে গ্রামে যেতে হলে নিরাপদ সময়ে যাওয়া উচিত। পুরানো ছোট লন্চ, পুরানো বাস, ওভারলোডেড ট্রেনে বাড়ী যাওয়া মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া , এই ঈদে কিছু মানুষের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা আছে; ঈদের সময়, আনন্দের সময়; এ সময় জীবনের ঝুঁকি নেয়া সঠিক নয়; কোন ফেমেলী ক্রাইসিসে হয়তো ঝুঁকি নেয়া যায়, আনন্দ করার জন্য ঝুঁকি নেয়া বেকুবী।
সরকার যেভাবে রোজার ঈদে 'লম্বা বোনাস' ছুটি দেয়, এতে মানুষ গ্রামের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ পায়, এগুলো বার্ষিক ছুটির অংশ নয়, এগুলো "বোনাস ছুটি"; আসলে, এট লম্বা ধর্মীয় ছুটি দেয়া, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মোটামুটি অন্যায়; 'ঈদের সময়ের লম্বা ছুটির' দিন গুলো 'বার্ষিক ছুটিতে যোগ করা হোক', ঈদের জন্য মাত্র ১ থেকে ২ দিন ছুটি দেয়া হোক; এতে মানুষ ঈদের সময়ে বাড়ী না গিয়ে, পরে সুযোগ মতো পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে যেতে পারবেন।
সরকার জানে যে, এত মানুষ গ্রামে যাবার মতো নিরাপদ ট্রেন, বাস ও লন্চ নেই; তা'হলে ঈদে এট লম্বা ছুটি দেয়া অন্যায়; বোনাস ছুটি পেলে মানুষ দুরে যাবেই; তদুপরি, ঈদের ছুটিতে গিয়ে কয়েকদিন বেশীও থাকার সুযোগ করে নেয় সব সরকারী চাকুরে। সরকারী চাকুরেদের মাঝেও শতকরা ৪০ ভাগ ঝুঁকি নিয়ে বাড়ী যান।
কোরবানী ঈদে মানুষ পরিবারের সাথে কোরবান করতে চায়; এই ঈদে হয়তো মানুষ বেশী বাড়ী যেতে চাইবে; এইসময় মানুষকে লম্বা ছুটি ব্যবহার করতে বাধ্য করা উচিত, ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত যাতে কোনভাবেই ওভার লোডিং করতে না পারে, মানুষ যেন একসংগে না গিয়ে, ক্রমান্বয়ে বাড়ী যেতে পারে; মানুষের হাতে লম্বা ছুটি থাকলে সবাই এক সময়ে যেতে চাইবে না।
কোরবানীও যাতে মানুষ নিজের কর্মস্হলে করতে পারে তার ব্যবস্হা করাও সম্ভব; পরিবারের সাথে কোরবানী না করে, যাতে শহরে অন্যদের সাথে কোরবাণী করতে পারে, সেটার উদ্যোগ নেয়া খুবই সহজ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭