এক ব্লগার বলেছেন, আমাদের যেই ৩ মেয়ে ব্রিটিশ এমপি হয়েছেন, বাংলাদেশে থাকলে এরা হয়তো গার্মেন্টস কর্মী হতেন; সম্ভাবনা ছিলো। বৃটেনে এখন হয়তো ৭ লাখ বাংগালী আছেন; এঁরা ৩ জন যথাসম্ভব ২য়, কিংবা ৩য় জেনারেশন'এর সদস্য; এঁরা লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন, রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন; এঁরা বাংলাদেশে থাকলে, শুধু শেখ রেহানার মেয়ে হয়তো সুযোগ পেতেন; বাকী ২ জনের কোন চান্সই ছিলো না, যেভাবে বর্তমানে গার্মেন্টস'এর ৪০ লাখ মেয়ে জাতি থেকে কোন সুযোগই পায়নি!
বৃটেনে পড়ালেখার খরচ অনেক বেশী, সরকারের জন্যও বেশী ব্যয়বহুল; তারপরও প্রত্যেকের পড়ালেখার নিশ্চয়তা আছে; বাংগালী পরিবারেরাও সেই সুযোগ পাচ্ছেন সেখানে।
বাংলাদেশে পড়ালেখার খরচ ১৯৭২ সালে, মাথাপিছু ১০ টাকার কাছাকাছি ছিল; তারপরও শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব ১৯৭২ সালে বাংগালীর বাচ্চাদের স্কুলে যেতে দেননি; এর থেকে বেকুবী বিশ্বে কখনো ঘটেনি।
গত ৪৬ বছরে, বাংলাদেশে পড়ালেখার খরচ, বিশ্বের সাথে সামানুপাতিক হারে, আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডের চেয়ে অনেক বেশী; এটা করেছে ব্যুরোক্রেটরা ও রাজনৈতিক দলগুলো, যাতে বাংগালীরা পড়তে না পরে; এতে সুযোগ হয়েছে, নুর আলীর মতো মানুষ ডলারে বিলিওনিয়ার হয়েছে; ৫০ হাজারের বেশী সরকারী ও বেসরকারী আদম বেপারী থেকে শুরু করে রাস্ট্রদুতেরাও কোটীপতি হয়েছে; গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজে ৫০ হাজার মালিক ও ব্যবসায়ীকে আমেরিকান ডলারে মিলিওনিয়ার করেছে; চাবিকাঠি একটি, "কৌশলে পড়ালেখা করতে না দেয়া"।
বাংলাদেশ সীমিত সম্পদের দেশ, সবাই সুইজারল্যান্ডের মতো ধনী হওয়ার কথা নয়; কিন্তু সবার অবস্হা কমপক্ষে মালয়েশিয়া ও চীন থেকে ভালো হতে পারতো, যদি সবাইকে পড়ালেখা করার সুযোগ দেয়া হতো; সবাইকে "ফ্রী" পড়ানোর টাকা ১৯৭২ সাল থেকেই ছিলো, আজও আছে। আজ গার্মেন্টস হয়তো ২৮ বিলিয়ন ডলারের "হার্ড কারেন্সী" আনছে; যদি সবাইকে পড়তে দেয়া হতো, "বাংলাদেশের টাকা হার্ড কারেন্সীতে পরিণত হতো"।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩০